সম্প্রতি, প্রকাশিত হয়েছে নীনা গুপ্তার আত্মজীবনী 'সচ কহু তো'। বইয়ের পরতে পরতে নিজের অভিনেত্রী জীবনে নানান অজানা ঘটনা পেশ করার পাশাপাশি তিনি লিখেছেন বলিউডের 'অন্ধকার দিক'এর কথাও। এবং অবশ্যই আটের দশকে বহুলচর্চিত কিংবদন্তি ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এবং ফলশ্রুতি হিসেবে বিবাহিত তকমা ছাড়াই ভিভের সন্তানের মা হওয়ার ঘটনা।
তবে অন্তঃসত্বা থাকাকালীন কম ঝামেলা পোহাতে হয়নি নীনাকে। সমাজের আঙ্গুল তোলা তো ছিলই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছিল নানান জল্পনা। আত্মজীবনীতে তিনি লিখেছিলেন তাঁর অন্তঃসত্বা থাকাকালীন অবস্থায় তাঁকে ভরসা দিতে এগিয়ে এসেছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু তথা বলি-অভিনেতা সতীশ কৌশিক। সন্তানসম্ভবা নীনাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, সঙ্গে এও বলেছিলেন যদি নীনার সন্তানের গায়ের রং চাপা হয়, তাহলে যেন অভিনেত্রী ওই সন্তানের বাবা হিসেবে সতীশের নাম লোকসমাজে পরিচয় দিতে ইতস্তত না করে। আর তার ওপর কেউ কোনও সন্দেহও করবে না কারণ সতীশের গায়ের রংও যথেষ্ট চাপা।
এবার এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সতীশ কৌশিক। জানালেন নীনার সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব সেই ১৯৭৫ সাল থেকে। ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বিপদের সময় একজন বন্ধু হিসেবেই এগিয়ে গেছিলেন তিনি। নীনা যেন সেই সময়ে নিজেকে 'একা' মনে না করেন, তাই জন্যেই আরও এগিয়েছিলেন তিনি। তাঁর তরফে সেই প্রস্তাব শুনে আনন্দে ও কৃতজ্ঞতায় যে কেঁদে ফেলেছিলেন নীনা, সেকথাও এই প্রথম জানালেন সতীশ। এখানেই না থেমে সতীশ আরও বলেন,' সেই সময়ে বিয়ের সম্পর্ক ছাড়া কোনও সন্তানের জননী হওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চয়ই বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত ছিল। নীনার সেই সিদ্ধান্তকে আমি সম্মানও জানিয়েছিলাম। তবে সেই সময়ে বন্ধু হিসেবে তাঁকে আরও 'কনফিডেন্স' জুগিয়ে পাশে দাঁড়াতে চেয়েই ওঁকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। ওঁর প্রতি থাকা আমার অগাধ বিশ্বাস এবং সম্মানের জায়গা থেকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। আর দিনের শেষে একজন বন্ধুর বিপদে তো বন্ধুই এগিয়ে আসে।'
নীনা অবশ্য সেই বিয়েতে রাজি হননি। বরং তাঁর কন্যা মাসাবা-কে জন্ম দিয়ে একা হাতে বড় করে তুলেছিলেন। কন্যার নামের পদবীর সঙ্গে জুড়েছিলেন বর্তমানে বলিউডের অন্যতম প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনারদের মধ্যে ঘোরাফেরা করে মাসাবার নাম।