গতবছর ১২ জুলাই সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্ট। এক সপ্তাহব্যাপী এই বিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্প, ব্যবসা জগতের একাধিক তারকা এবং দেশের প্রথম সারির নেতা নেত্রীরা। বিদেশের মাটি থেকে উড়ে এসেছিলেন বহু তারকা। খুব স্বাভাবিকভাবেই ছেলের বিয়েতে দুহাত খুলে খরচ করেছিলেন মুকেশ আম্বানি।
হলদি থেকে শুরু করে মেহেন্দি, বিয়ে থেকে শুরু করে রিসেপশন, সবেতেই তাক লাগানো আয়োজন করেছিলেন আম্বানি পরিবার। রাজ পরিবারের বিয়েও যেন হার মেনে যাবে, এমনই আয়োজন করেছিলেন মুকেশ আম্বানি। আম্বানি পরিবারের এই অঢেল খরচের জন্য সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁদের, এবার সেই বিষয়েই কথা বললেন নীতা।
অনন্তের বিয়ে প্রসঙ্গে নীতা বলেন, আমরা সবাই জানি প্রত্যেক বাবা-মা সন্তানদের জন্য সেরা দিতে চান। আমরাও ঠিক সেটাই করেছি। আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করেছি বিয়ের আয়োজন করার। আমরা আনন্দিত যে ভারতীয় ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে সকলের সামনে তুলে ধরতে পেরেছিলাম।
অনন্তের স্থূলতার কথা উঠলে নীতা বলেন, অনন্ত খুব ছোট থেকেই হাঁপানির কারণে ওষুধের ওপর নির্ভরশীল। অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার ফলেই ও ছোট থেকেই মোটা। তবে শারীরিক গঠন কখনও আত্মবিশ্বাসে বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি। রাধিকার হাতে ওকে তুলে দিতে পেরে আমরা নিশ্চিন্ত।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুলাই জামনগরে ধুমধাম করে আয়োজন হয়েছিল অনন্ত এবং রাধিকার বিবাহ বাসর। ১৩ জুলাই আশীর্বাদ অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। রিসেপশনের আয়োজন হয়েছিল ইউরোপের একটি ক্রুজে।
আরও পড়ুন: ইন্দ্রনীলের সঙ্গে বিয়ে ভেঙেছে! বিকিনি পরে সৈকতে কার সঙ্গে ভ্যালেন্টাইনস ডে কাটালেন বরখা?
উল্লেখ্য, অনন্তের বিয়ের পরই হঠাৎ করে জিও রিচার্জের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে বলেছিলেন, অনন্তের বিয়ের খরচ তোলার জন্যই এই অতিরিক্ত দাম বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুকেশ আম্বানি। রিচার্জের দাম এবং বিয়ের খরচের কোনও সম্পর্ক আদৌ আছে কিনা তা না জানা গেলেও আম্বানি পরিবারের ছোট ছেলের বিয়ে যে রূপকথাকে হার বানিয়েছিল তা বলাই বাহুল্য।