৪০ বছরের দাম্পত্য সম্পর্কে ইতি টেনে নীতুকে একা রেখে চলে গিয়েছেন ঋষি কাপুর। গত বছর এপ্রিলে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই থামিয়ে না-ফেরার দেশে চলে যান বর্ষীয়ান অভিনেতা। স্বামীর স্মৃতি বুকে আগলেই জীবনপথে এগিয়ে চলেছেন নীতু। সঙ্গী তাঁর দুই সন্তান- রণবীর ও রিদ্ধিমা, যাঁরা প্রতিটা মুহূর্তে মায়ের হাতটা শক্ত করে ধরে রেখেছেন। চলতি সপ্তাহে ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে হাজির হচ্ছেন নীতু। সেখানে ঋষি কাপুরের স্মৃতিচারণায় ডুব দিলেন অভিনেত্রী।
ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে ভিডিয়ো বার্তায় মা'কে পরিবারের ‘আয়রন লেডি’ এবং ‘প্রকৃত ইন্ডিয়ান আইডল’ বলে ব্যাখা করেন রিদ্ধিমা। অন্যদিকে রণবীর ছেলেবেলার স্মৃতিতে ডুব দিলেন। জানালেন গানের স্কুল থেকে কেন তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
শোয়ের প্রমো ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে, যেখানে নীতু ও ঋষি কাপুর অভিনীত ‘খেল খেল মে’ ছবির ‘এক মেয় অউর এক তু’ গানে নাচতে দেখা গেল বর্ষীয়ান অভিনেত্রীকে। সঙ্গ দিলেন ইন্ডিয়ান আইডলের প্রতিযোগী দানিশ। নীতু এদিন দানিশকে দেখে বলেন, ‘তোমার মধ্যে কিছু তো একটা আছে যা ঋষিজির কথা মনে করায়’।
ঋষি কাপুরের কথা বলতে গিয়ে, সঞ্চালক আদিত্য নারায়ণ বলেন- ‘উনি সুদক্ষ অভিনেতার পাশাপাশি দুর্দান্ত ডান্সার ছিলেন’। মাঝপথেই আদিত্যকে থামিয়ে নীতু বলে উঠেন- ‘না, একদম নয়, ভুল কথা। উনি সবচেয়ে বাজে ডান্সার ছিলেন, ওঁনার লেগ মুভমেন্ট একদম বিতিকিচ্ছিরি’। এরপর নীতু যোগ করেন, ‘ঋষিজি কেবলমাত্র মুখ ভঙ্গিমা এবং শরীরের উপরের অংশ দিয়েই নাচতেন, ওঁনার মুখ আর হাত নাচত, তবে ওঁনার লেগ ওয়ার্ক এত খারাপ ছিল যে আমি বিরক্ত হয়ে যেতাম’। ‘এক মেয় অউর এক তু’ গানের শ্যুটিং অভিজ্ঞতা স্মরণ করে নীতু বলেন, এই গানের একটি সহজ ডান্স স্টেপ বারবার চেষ্টা সত্ত্বেও করতে পারছিলেন না ঋষি, সেই সময় তিনি ভাবছিলেন, ‘এই লোকটা নাচতে পারে না কেন? এত সোজা একটা স্টেপ। তবে অনস্ক্রিনে ওঁনার এক্সপ্রেশন এবং হাতের মুভমেন্ট এতো ভালো দেখাত যে কেউ তাকিয়ে দেখতই না ওঁনার লেগ ওয়ার্কের দিকে'।