বিগত কয়েকমাস ধরেই নিজেকে যেন আমূল বদলে ফেলেছেন নেহা ধুপিয়া। তাঁর ওজন ঝরানো সকলেরই নজর কেড়েছে। কীভাবে নিজের পোস্ট প্রেগন্যান্সি ওজন ঝরাতে সক্ষম হলেন তিনি? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা যায়, গর্ভাবস্থায় সাধারণত খুব বেশি হলে ১৭-১৮ কেজি ওজন বেড়ে থাকে। কিন্তু তাঁর ক্ষেত্রে বেড়েছিল ২৩-২৫ কেজি।
‘মেহেরের (তার মেয়ে) জন্মের পর আমরা লকডাউনে চলে গিয়েছিলাম। তাই সেইসময় আমি ডায়েট করে বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলেছিলাম। তারপর আমি পুণরায় গর্ভবতী হই।’ বলতে শোনা গেল নেহাকে। তিনি নিজের বক্তব্যে আরও যোগ করেন, ‘এটা পাগল করা একটা চার বছর ছিল। যখন আমি ওজন কমিয়েছি। আবার ওজন বেড়েছে। তবে প্রসবোত্তর সময়ে ওজন বাড়লে কেমন দেখতে হব, তা নিয়ে আমি একেবারেই চিন্তিত ছিলাম না।’
আরও পড়ুন: দেশে ফিরেই ভাই-বোনদের কাছে বিরাট! গোসা হল নাকি অনুষ্কার, ননদের পোস্টে কী লিখলেন
নেহা আরও বললেন, ‘আমার দুই সন্তানই প্রায় এক বছর বুকের দুধ পান করেছে। যার ফলে আমার খুব খিদে পেত। এনার্জিও ডাউন থাকত। ওই সময় আলাদাভাবে শরীরচর্চা করা আমার পক্ষে সম্ভব হত না। এক বছর আগে অবধি পুরোপুরিভাবে ডায়েট ও শরীরচর্চায় মন দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভবপর ছিল না। তবে এরপর আমি ২৩ কেজি ওজন ঝরিয়েছি। যদিও আমি যে ওজনে পৌঁছব ঠিক করেছি বা যে শরীরের যে মাপে, তাতে পৌঁছতে পারিনি এখনও। কিন্তু আমার বিশ্বাস, অদূর ভবিষ্যতে সেখানে সেটাও হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: অনন্ত-রাধিকার বিয়েতে গাইতে মুম্বইতে জাস্টিন বিবার! কত টাকা নিলেন আম্বানিদের থেকে
তা কীভাবে ওজন কমালেন নেহা? অভিনেত্রী জানালেন, ‘আমি খুব বেশি ক্যালোরির ঘাটতি তৈরি করি না। কারণ একজন ওয়ার্কিং মা হিসেবে আমার সবসময় এনার্জির প্রয়োজন পড়ে। তবে আমি দৌড়নো উপভোগ করি। মাঝে মাঝে জিমে যাই। চিনি, ভাজা খাবার, গ্লুটেন বাদ দিয়েছি। সুষম খাদ্য খাই। আলাদাভাবে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করিনি। আমার জীবনযাত্রার কারণেই এটা হয়েছে। সন্ধ্যা ৭.০০টায় আমি বাচ্চাদের সঙ্গে ডিনার করে নেই। এরপর সকাল ১১টায় ফের আমার স্বামী অঙ্গদের সঙ্গে প্রাতঃরাশ করি’।
আরও পড়ুন: আরমান মালিকের পর আরেক ইউটিউবারের ২ স্ত্রী, কে এই সানি রাজপুত, কেন করেন ২ বিয়ে?
নেহা জানালেন, ওজন কমানোর পর তাঁর আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে। এমনিতেও ক্যামেরার সামনে আসতে, ফিট থাকা প্রয়োজন। সঙ্গে অভিনেত্রী জানালেন, ওজন কমানোর পর আরও বেশি করে কাজের অফারও পাচ্ছেন।