অপেক্ষা আর কয়েকঘন্টার। চলতি সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে জনপ্রিয় গানের রিয়্যালিটি শো ইন্ডিয়ান আইডলের ১২ নম্বর সিজন। শো নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। চ্যানেলের টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রতিদিনই অংশগ্রহণ করতে আসা প্রতিযোগীদের কোনও না কোনও নতুন ভিডিও শেয়ার করা হয়। সেখানেই দেখা যায়, শো-তে অংশগ্রহনের জন্য আসা জয়পুরের বাসিন্দা শেহেজাদ আলির জীবনযুদ্ধের কাহিনি উঠে এসেছে।
জয়পুরের ছোট এক কাপড়ের দোকানের সামান্য কর্মচারী শেহেজাদ। তাঁর গান শুনে মুগ্ধ হয়ে যান বিচারকরা। এরপরই যখন তিনি নিজের জীবন কাহিনি শোনান, তা শুনে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এই রিয়ালিটি শোয়ের তিন বিচারক- হিমেশ রেশমিয়া, বিশাল দাদলানি ও নেহা কক্কর। গায়ক শেহেজাদ আলির কঠিন জার্নির গল্প বিচারক নেহা কাক্করকে এতটাই প্রভাবিত করে, তিনি তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন।
প্রতিযোগী শেহেজাদ আলি জানান, ছোট বসয়েই মাকে হারিয়েছে সে। এরপরই দিদিমার কাছে তাঁরা ভাইবোনেরা মানুষ। মুম্বইতে ইন্ডিয়ান আইডলে আসার জন্য তাঁর দিদিমা ব্যাঙ্ক থেকে পাঁচ হাজার টাকা লোন নিয়েছেন। যাতে শুধুমাত্র সে ইন্ডিয়ান আইডলে অংশগ্রহণ করতে পারে।
সদ্য বিবাহিতা নেহা এই কাহিনি শুনে এতটাই আবেগপ্রবন হয়ে পড়েন, ওই প্রতিযোগীর দিদিমাকে নেহা এক লক্ষ টাকা উপহার দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এছাড়াও এই শো-এর অন্য একজন বিচারক বিশাল, শেহেজাদকে এক ভালো শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। যাতে শেহেজাদ আরও ভালো করে গানের তালিম নিতে পারেন। জয়পুরের শেহেজাদের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ঝড় তুলেছে।