ইব্রাহিম আলি খান এবং খুশি কাপুর শীঘ্রই ‘নাদানিয়া’ দিয়ে নেটফ্লিক্সে ডেবিউ করতে চলেছে। ৩ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত একগুচ্ছ প্রোজেক্টের মাঝে, নাম রয়েছে এটিরও। মুম্বইয়ের ওটিটি প্ল্যাটফর্মের একটি অনুষ্ঠানে নাদানিয়া সিনেমার প্রথম গান ‘ইশক মে’-র ঝলক সামনে এল। শওনা গৌতম পরিচালিত এই সিনেমা নিয়ে দর্শকদের উন্মাদনা তুঙ্গে।
নাদানিয়া-র প্রথম গান ইশক মে:
গানটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখা হয়েছে, ‘হাম ফাসনে ওয়ালে হ্যায়, ইনকে ইশক মে! নতুন প্রজন্মের জন্য এই প্রেমের গল্পে ইব্রাহিম আলি খান এবং খুশি কাপুর। খুব শীঘ্রই আসছে 'নাদানিয়া', শুধু নেটফ্লিক্সে। #IshqMein গানটি মুক্তি পেল।’ বরাবরই ইব্রাহিমের মুখ দেখলে, সইফের যৌবনের কথা মাথায় আসে দর্শকরে। সিনেমা দিয়ে সত্যিই মহিলা ভক্তদের ঘায়েল করতে চলেছেন। দুর্দান্ত লাগছে খুশিকেও। এর আগে নেটফ্লিক্সের সিরিজেই দেখা গিয়েছিল শ্রীদেবীর ছোট মেয়েকে।
ইশক মে গানটির সুর করেছেন শচীন-জিগর, কণ্ঠ দিয়েছেন সচেত ট্যান্ডন, অশিস কৌর ও শচীন-জিগর এবং গানের কথা লিখেছেন অমিতাভ ভট্টাচার্য। এই ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হতে চলেছে ইব্রাহিমের।
নাদানিয়া পরিচালনা করেছেন শাওনা গৌতম। অর্থাৎ রকি অর রানি কি প্রেম কাহানি ছবিতে যিনি করণ জোহরকে সহকারী হিসেবে সাহায্য করেছিলেন। ফলে এটা খালি ইব্রাহিমের ডেবিউ কাজ না। তিনিও পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন। শনিবার ছবির নাম সহ প্রথম পোস্টার প্রকাশ্যে এল।
নেটফ্লিক্সে আসছেন সইফ আলি খান:
এদিক সইফ আলি খানও ২০২৫ সালে আসছেন নেটফ্লিক্সে। এদিন সামনে এল জুয়েল থিফ-এর টিজার। পাঠান, ওয়ার এবং ফাইটারের মতো অ্যাকশন-প্যাকড ব্লকবাস্টারগুলি পরিচালনা করার জন্য পরিচিত সিদ্ধার্থ আনন্দ বানিয়েছেন এটি। টিজারটি জয়দীপকে অপরাধ জগতের মাথা হিসেবে দেখানো হয়েছে, যিনি একটি লাল হিরে-আফ্রিকান রেড সান চুরি করার জন্য নিয়োগ করে সইফকে। যার মূল্য ৫০০ কোটি টাকা। এর আগে একসঙ্গে কাজ করেননি জয়দীপ ও সইফ।
টিজার থেকেই স্পষ্ট, হিরে চুরি নিয়ে আসবে নানা টুইস্ট। প্রতারণা, বিশ্বাসঘাতকতা, সংঘাত মিলিয়ে একেবারে টানটান উত্তেজনার সঙ্গে দর্শককে ধরে রাখতে সক্ষম হবে জুয়েল থিফ।
ছুরিকাঘাতের ঘটনার পর, সোমবার প্রথম প্রকাশ্যে এলেন সইফ আলি খান। হাতে প্লাস্টর নিয়েই এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন অভিনেতা। ডেনিম শার্ট আর জিন্সে এই ইভেন্টে অংশ নেন তিনি। আর সেখানে করিনার বরকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে ভালো লাগছে। এখানে এসে খুব ভালো লাগছে। এই সিনেমাটি নিয়ে আমি খুবই উচ্ছ্বসিত। সিদ্ধার্থ (সিদ্ধার্থ আনন্দ) এবং আমি দীর্ঘদিন ধরে এটি নিয়ে কথা বলছি। এবং আমি এর চেয়ে ভাল সহ-অভিনেতা পেতাম না (জয়দীপের কাঁধে হাত রেখে)। দারুণ একটা সিনেমা হতে চলেছে। আমি উত্তেজিত।’