এই তো কয়েক সপ্তাহ আগের কথা, অনুষ্কা শর্মা ঝুলন গোস্বামীর বায়োপিক থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এমনই খবর শোনা গিয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল সকাল সারপ্রাইজ দিলেন বিরাট ঘরণী। জানালেন তিন বছর পর ঝুলন গোস্বামীর বায়োপিকের সঙ্গে কামব্যাক করছেন তিনি। ছবির নাম ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’। পরিচালনায় প্রসিত রায়। এদিন ছবির টিজারও শেয়ার করেছেন বিরাট ঘরণী।
২২ গজে বল হাতে ছুটে আসবেন অনুষ্কা, এই দৃশ্য দেখবার অপেক্ষায় দর্শক। যদিও টিজারে তেমন কিছুই চোখে পড়েনি। ভারতীয় দলের নীল জার্সিতে অনুষ্কাকে দেখে দর্শক কী বলছেন? ‘ঝুলন’ অনুষ্কাকে দেখে দ্বিধাবিভক্ত টুইটার। চাকদহের এক সাধারণ মেয়ের অসাধারণ হয়ে উঠবার লড়াই উঠে আসবে ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’-এ। কেমনভাবে প্রচলিত ধ্যান-ধারণা, প্রতিকূলতা ভেঙে পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় মহিলা ক্রিকেটার হিসাবে কীভাবে জায়গা ছিনিয়ে নিয়েছেন ঝুলন তা উঠে আসবে এই ছবিতে।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে কিছু দিনের মধ্যেই মুক্তি পাবে ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’। অনুষ্কা জানিয়েছেন, ‘এই ছবিটা খুব স্পেশ্যাল, কারণ এটা বলবে আত্মত্যাগের গল্প। …মহিলা ক্রিকেট নিয়ে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পালটে দিতে পারে এই ছবি। যখন ঝুলন ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল, তখন মেয়েদের জন্য স্পোর্টসের দুনিয়ায় পা রাখাটাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। এই ছবিতে এমন অনেক গল্প উঠে আসবে যা ঝুলনের জীবনকে, মহিলা ক্রিকেটকে একটা দিশা দেখিয়েছে’।
অনুষ্কা ভক্তরা তো দুর্দান্ত খুশি তিন বছর পর অভিনেত্রীর কামব্যাকের এমন ধামেকেদার খবরে। তবে নেটিজেনদের একটা বড় অংশ, ঝুলন হিসাবে অনুষ্কাকে মোটেই মেনে নিতে পারছে না। তাঁদের মত ঝুলন গোস্বামী হিসাবে এতটুকুও মানাচ্ছে না অনুষ্কাকে। একজন লিখেছেন, ‘আমি অনুষ্কাকে ভালোবাসি, তবে উনি এই চরিত্রের জন্য একদম উপযুক্ত নন’। অপর একজন লেখেন, ‘বায়োপিক যখন বানাচ্ছেন কম করে একটু ত্বকের রঙটা মিলিয়ে নিতেন। একজন বাঙালি অভিনেত্রীকে এই চরিত্রের জন্য বাছা উচিত ছিল’। এক নেটিজেনের প্রশ্ন, ‘কোনও শ্যামবর্ণা মেয়েকে কেন নেওয়া হল না এই চরিত্রের জন্য? শ্যামলা মেয়েদের নিয়ে কী সমস্যা এদের বোঝা যায় না’।
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের 'সাবাশ মিঠু' ছবিতে ঝুলনের ভূমিকায় দেখা যাবে বাঙালি অভিনেত্রী মুমতাজ সরকারকে। যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে এই কাস্টিং।
অনেকেই বলছেন বলিউডে অনেক বাঙালি অভিনেত্রী আছেন, অথবা কোনও টলিউড অভিনেত্রীকেও সুযোগ দেওয়া যেত। বাঙালির চরিত্রে অভিনয় করতে হলে বাংলা ভাষার উচ্চারণ ভাল হওয়া জরুরি। টিজারে অনুষ্কার বাংলা উচ্চারণে স্পষ্ট অবাঙালি টান। এখনও অনুষ্কাকে বল হাতে দেখেনি দর্শক, তার আগেই এতো প্রশ্ন উঠছে, অভিনয় গুণে কি সব সমালোচনার জবাব দিতে পারবেন অনুষ্কা সেটাই এখন দেখবার।