মহলয়ার অনুষ্ঠান নিয়ে চ্যানেলে চ্যানেলে জোর টক্কর। কে কাকে মাত দেবে? সেই নিয়ে বিস্তর আলোচনা। স্টার জলসার এই বছরের নিবেদন ছিল ‘যা চণ্ডী’, অন্যদিকে জি বাংলায় দেখা গেল ‘সিংহবাহিনী ত্রিনয়নী’। টিআরপি রিপোর্ট বলবে কোন অনুষ্ঠান বেশি দর্শক টেনেছে, তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় মহালয়া নিয়ে মতামতার শেষ নেই।
সমালোচনার শিকার সব চ্যানেলের মহালয়াই। দূরদর্শনের পুরোনো মহালয়ায় যে ‘ভালো লাগা’ ছিল সেটা বড্ড মিসিং, দাবি নেটপাড়ার। পাশাপাশি মহালয়ার চটকদার অনুষ্ঠান নিয়ে ট্রোলিং-এর বন্য সর্বত্র। তুল্যমূল্য বিচারে স্টার জলসার ‘যা চণ্ডী’ এই বছর এগিয়ে থাকল অনেকখানি।
স্টার জলসা এই বছর একটু অন্যভাবে মহালয়া উপস্থাপন করেছে। বিশেষত মহালয়ার শেষে রয়েছে মহা-টুইস্ট। শুভ বনাম অশুভর লড়াই আজও বর্তমান। নারীকে প্রতিনিয়ত লড়তে হচ্ছে চারপাশের অসুরদের সঙ্গে। শেষ কয়েক মুহূর্তেই ‘আজকের দুর্গা’ হয়ে চমকে দিয়েছেন শোলাঙ্কি। ‘খড়ি’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক। অনেকর মতে সোনামণিকে ছাপিয়ে গিয়েছেন শোলাঙ্কি।
অন্যদিকে জি বাংলায় এই বছরও দেবী দুর্গা রূপে এবারও ধরা দিয়েছেন শুভশ্রী। শুরু থেকেই শুভশ্রীর কাস্টিং নিয়ে অনেকেই নাক সিঁটকেছেন। পরপর দু-বার শুভশ্রীকে দুর্গা হিসাবে দেখে খুশি নন অনেকেই। একজন নেটিজেন লিখেছেন, ‘চন্দননগরের লাইটিংটা দুর্দান্ত, তা কটা অর্ডার এল?’ নিম্নমানের ভিএফএক্স-কে কটাক্ষ করে অপর এক নেটিজেন লেখেন- ‘এ তো মার্বেলের চেয়েও সেরা ভিএফএক্স…. এমন ভিএফএক্স দেখে চক্ষুচড়কগাছ।’ কেউ কেউ তো নির্মাতাদের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘আগে মহিষাসুরমর্দিনীর গল্পটা পড়ে আসুন, তারপর এইসব টেলিকাস্ট করবেন’।
স্টার জলসা ও জি বাংলার পাশাপাশি কালার্স বাংলাতেও সম্প্রচারিত হয়েছে মহালয়া স্পেশ্যাল অনুষ্ঠান 'দেবী দশমহাবিদ্যা'। সেখানে মহিষাসুরমর্দিনী হিসাবে ধরা দিয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। অনেক নেটিজেনদের মতেই, মহালয়ার অনুষ্ঠানে অভিনেত্রীদের ‘গয়নার দোকান’ বানিয়ে দেওয়া হয়েছে।ঋতুপর্ণাকে অনেকেই ‘বুড়ি দুর্গা’ বলে ট্রোল করেছেন। তবে ট্রোল আর্মিরা সবচেয়ে বেশি আক্রমণ শাণিয়েছেন কালার্সের দেবী ধূমাবতী মানে অভিনেত্রী সৈরিতি বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ‘কার্টুন’ লাগছে ধূমাবতী দেবীকে, লিখেছেন নেটিজেনরা।
আপনাদের কোন মহালয়ার অনুষ্ঠানটি অধিক পছন্দ হল? আদ্যাশক্তি কোন রূপে মুগ্ধ হলেন? নেটিজেনদের রায়ে এগিয়ে থাকল ‘যা চণ্ডী’।