হৃত্বিক শুধু বি-টাউনে সুদর্শন পুরুষ হিসাবেই পরিচিত নন। কেরিয়ারের শুরু থেকেই সু-ডান্সার হিসাবে পরিচিত পেয়েছেন তিনি। এক পলকা জিনা গানে হৃত্বিকের দুর্দান্ত নাচ বছর কুড়ি পরে আজকের জেনারেশনের কাছেও অনুপ্রেরণা।
এবার হৃত্বিকের ইউ আর মাই সোনিয়া গানে নেচে নেটদুনিয়া কাঁপাচ্ছেন এক টিকটকার। টুইটারের বাসিন্দারা মুগ্ধ এই মাঝবয়সী ব্যক্তির নাচে। সকলের মুখেই একটা কথা-'দেখুন কী অসম্ভব ভালো নাচছে এই ব্যক্তি'। কভি খুশি কভি গম ছবিতে এই গানে নেচেছিলেন হৃত্বিক। এই গানে করিনা ও হৃত্বিকের রসায়ান ও দুর্দান্ত ডান্স স্টেপ আজও গেঁথে রয়েছে সিনেপ্রেমীদের মনে।
এই টিকটকারের নাম আরমান রাঠোর। বাহ্যিক চেহারা দেখে কোনওদিন কারুর ট্যালেন্টের অনুমান লাগানো সম্ভব নয় সেকথাই প্রমাণ করে দিলেন আরমান রাঠোর। একদম ঢিলেঢালা সাধারণ ময়লা পোশাক, সেই অর্থে হিরোসলুভ লুক বা আচরণ কোনটাই নেই তাঁর। মাঠের সামনে রাস্তার উপর হৃত্বিকের গানে নাচলেন আরমান। ব্যাস নিমেষেই ভাইরাল হল ভিডিয়ো।
টুইটারে এই ভিডিয়ো শেয়ার করে নিয়েছেন রোজি নামের এক ইউজার। তিনি নেটিজেনদের কাছে আরমানকে জনপ্রিয় করবার আর্জি জানান। ইতিমধ্যেই প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ টুইটারে দেখে নিয়েছেন আরমানের এই নাচ। মাইক্রো ব্লগিং সাইটে অনেকেই হৃত্বিককে ট্যাগ করেছেন, কেউ কেউ বরুণ ধাওয়ানকেও ট্যাগ করে এই ভিডিয়ো শেয়ার করছেন।
আরমান রাঠোরের টিকটক অ্যাকাউন্টে ভর্তি এই ধরণের ডান্স ভিডিয়ো,যেখানে অত্যন্ত সহজাতভাবে বলিউউ সুপারস্টারদের নাচের স্টেপ ম্যাচ করেছেন এই ছাপোষা ব্যক্তি। ক্ল্যাসিক্যাল, কনটেম্পোরারি থেকে বলিউড সব ধরণের ডান্স স্টাইলেই নাচতে দেখা গেল আরমানকে।
অনেক নেটিজেনের দাবি কোনওদিনই নাচ শেখেনি আরমান। এটা একান্তভাবেই ওর মধ্যে লুকিয়ে থাকা প্রতিভা। টিকটকে ইতিমধ্যেই আরমানের ফলোয়ার সংখ্যা দশ লক্ষের কাছাকাছি। এই ব্যক্তিকে ফেমাস করতে এখন উঠে পড়ে লেগেছে সাইবারদুনিয়া। টিকটক ভার্সেস ইউটিউব বিতর্কে দিন কয়েক ধরেই সরগরম নেটপাড়া, তার মাঝেই আরমানের ভিডিয়ো ফের প্রমাণ করল প্ল্যাটফর্ম যাই হোক না কেন-ভারতের আনাচে কানাচে লুকিয়ে থাকা প্রতিভাদের খুঁজে বার করতে সোশ্যাল মিডিয়ার কোনও জবাব নেই।