খালি গা।নেই কোনও বাদ্যযন্ত্র। কেবলমাত্র খালি গলাতে বড়োলোকে বিটি লো গুনগুন করছেন রতন কাহার। এতদিন এই নামটির সঙ্গে খুব বেশি পরিচিত না হলেও গত দু'দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় তৈরি বিতর্কের জেরে হয়ত আপনারা অনেকেই এই নামটা শুনে ফেলেছেন। বীরভূমের প্রত্যন্ত গ্রামের এই লোকশিল্পীর সৃষ্টিকেই রিমেক করে গেন্দা ফুল তৈরি করেছেন ব়্যাপার বাদশা। মুক্তির পর থেকে এখনও পর্যন্ত ইউটিউবে ট্রেন্ড করছে এই ভিডিয়ো। ভিউ সংখ্যা ইতিমধ্যেই সাড়ে চার কোটির কাছাকাছি। অথচ সেই গানের ক্রেডিটে কোথাউ উল্লেখ নেই রতন কাহারের নাম। সেই নিয়ে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। রবিবার ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে রতন কাহারের একটি ভিডিয়ো-যেখানে 'বড়লোকের বিটিলো' খালি গলায় গাইছেন শিল্পী।
বাদশা তাঁর গান কোনওরকম ক্রেডিট না দিয়েই ব্যবহার করে ফেললেন। আগেও একই রকম বঞ্চনার শিকার হয়েছেন শিল্পী। ১৯৭৬ সালে স্বপ্না চক্রবর্তী যখন এই গানটি গেয়েছিলেন তখনও কোনওরকম সম্মান জানানো হয়নি রতন কাহারকে। সম্প্রতি এক মিউজিক স্টুডিওকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে রতন কাহার জানিয়েছেন, 'আমার প্রতিবাদ করার মতো সামর্থ্য নেই, আমি গরিব মানুষ'।
রবিবার বাংলাপক্ষ নামের এক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে রতন কাহারের হয়ে আইনি লড়াইয়ে নামছে তাঁরা। ইতিমধ্যেই শিল্পীর সঙ্গে কথা বলছে বাংলাপক্ষ। আনুষ্ঠানিক প্রেস বিবৃতিতে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে-'শিল্পীর অনুমতি ছাড়া গান চুরি করা এবং বাঙালি মহিলাদের নিয়ে নোংরামোর বিরুদ্ধে বাংলা পক্ষ আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে। শিল্পী রতন কাহারের হয়ে আইনি লড়াই লড়বে বাংলা পক্ষ, শিল্পী সে অনুমতি দিয়েছেন'।