আরজি কর কাণ্ড নিয়ে যখন উত্তাল গোটা বাংলা তখন তারাসুন্দরী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মন কেড়ে নিলেন নেটিজেনদের। সরকারি কর্মচারী হয়েও যেভাবে তিনি নির্ভয়ে তাঁর ছাত্রীদের সঠিক শিক্ষা দিলেন তাতে মুগ্ধ সবাই। নিমেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিয়ো।
আরও পড়ুন: 'সরকারের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই...' আরজি কর কাণ্ডের মাঝেই পায়েলকে হেনস্থা, কী জানালেন কুণাল ঘোষ?
আরও পড়ুন: ১০ম দিনে ৩৫০ কোটির দোরগোড়ায় স্ত্রী ২, শনিবার বক্স অফিসে কত আয় করল বেদা-খেল খেল মে?
কী বলেছেন তিনি তাঁর ছাত্রীদের?
তারাসুন্দরী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বক্তব্যের যে ভিডিয়ো এদিন ভাইরাল হয়েছে সেখানে তাঁকে বলতে দেখা যাচ্ছে, 'এটা আমার কাছে খুব আনন্দের যে তোমরা নিজেরা আমাকে চিঠি করেছ যে তোমরা এই প্রতিবাদে সামিল হতে চাও। আমরা সরকারি চাকরি করি যাঁরা অনেক সময় তাঁদের অনেক বাধ্যবাধকতা থাকে। ওই যে পুলিশরা আজকে এসেছে, আমরা গতকাল পর্যন্ত ৩ বার চিঠি করেছি। কিন্তু এটা ওদের দোষ নয়। আসলে ওই পোশাকটার কিছু নিয়ম আছে। কিন্তু আজকে ওরা যে এসেছে সেটার কারণ ওদের পোশাকের নিচে যে মনুষ্যত্ব আছে সেটার টানে। অফিসিয়ালি কোনও অনুমতি আমরা পাইনি। আর আমরাও ঠিক করেছিলাম যে যদি জেলে ঢুকতেই হয় তাহলে রাস্তায় নেমেই ঢুকব। ঘরে বসে থাকব না।'
তিনি এদিন আরও বলেন, 'অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য সবসময় হিল্লিদিল্লি পৌঁছতে হবে এমনটা নয়। বাড়ি থেকেই তুমি তোমার প্রতিবাদ শুরু করো। তোমার কাজ তুমি করো।' তিনি এদিন নাইট ডিউটি না দেওয়ার বিষয়ে কথা বলেন। একই সঙ্গে দুর্নীতির বিষয়েও ছাত্রীদের 'জ্ঞান' দেন।
তারাসুন্দরী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা এদিন আরও বলেন, 'নিজেদের অধিকারের জন্য অন্য যে কোনও নির্যাতিতার পাশে দাঁড়াবে। এটা বুঝে রাখো। যদি রাষ্ট্র ভেঙে পড়ে তাহলে ১৮ বছরের নিচের মানুষদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি একটা ১২ বছরের মেয়ের ধর্ষণ আটকাতে না পারি তাহলে একটা ১২ বছরের মেয়ের সিদ্ধান্তকে আমাদের মর্যাদা দিতে হবে। নিজেদের কখনও ঠকাবে না। অন্য কোনও মেয়ের প্রতি অন্যায় হয় তাঁর পাশে দাঁড়াবে।'
আরও পড়ুন: 'প্রশাসনকে গাফিলতির দায় নিতে হবে', আরজি কর কাণ্ডে ফের সরব পরম, তদন্ত নিয়ে তুললেন কোন প্রশ্ন?
সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ ভাইরাল হয়েছে তাঁর এই বক্তব্য। বহু মানুষ শেয়ার করেছেন তাঁর এই কথা। এক ব্যক্তি লেখেন, 'আমার মায়ের স্কুল মায়ের বয়স ৮১ বছর আমার মা এই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন সেই স্কুলের ছাত্রীরাও আজকের এই নোংরামী প্রতিবাদ করছে আমার এই প্রতিবাদে সমর্থন রয়েছে।' দ্বিতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'আপনাকে প্রণাম জানাই দিদিমণি।' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'এই শিক্ষিকা ও ওই স্কুলের ছাত্রীদেরকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন।'