ঋদ্ধিমা কাপুর, যিনি প্রবীণ অভিনেতা নীতু কাপুর এবং ঋষি কাপুরের বড় মেয়ে এবং অভিনেতা রণবীর কাপুরের দিদি, সম্প্রতি জড়িয়েছেন এক বড় বিতর্কে। যা তাঁর একটি ইন্টারভিউয়ের অংশ। সেখানে ট্রোলারদের নিয়ে কথা বলতে গিয়ে, এমন কিছু বিশ্লেষণ ব্যবহার করেন তিনি, যা একেবারে উচিত নয় বলেই, জনসাধারণের মত।
ঋদ্ধিমার বিতর্কত মন্তব্য
এই বছরের গোড়ার দিকে গালাটা ইন্ডিয়ার সঙ্গে তাঁর সেই সাক্ষাৎকারের অংশ পুনরায় ভাইরাল রেডিটে। যেখানে রণবীরের দিদিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘ও (ঋদ্ধিমার মেয়ে সামারা) সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকতে চায়, আমি চাই না যে সে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব সৎ থাকুন। আমি ওকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে রাখতে চাই। তবে আমি ওকে বলেছিলাম যে, তুমি যদি তাও (না বলার পর) তোমার অ্যাকাউন্টটি (ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট) চালিয়ে যেতে চাও, তবে প্রভাবিত হবে না কোনও ট্রোলে। এবং এখন থেকেই তুমি সব কমেন্ট পড়বে না। মানুষ সব ধরনের লেখা লিখবে। যে কেউ, যে কোনো জায়গায় বলে এই মন্তব্য করতে পারে। হয়তো বাড়ির কাজের লোকেরাই (হাউজ হেল্প) মন্তব্য করছে, কে জানে?’
রেডিটে প্রতিক্রিয়া
পুরনো ক্লিপটি রেডিটে শেয়ার হতেই অনেক রেডিটর ঋদ্ধিমাকে 'হাউস হেল্প' মন্তব্যের জন্য তিরস্কার করেন। একজন লিখেছেন, ‘তার মানে আপনি নিশ্চয়ই বাড়ির পরিচারকিকাকে ছোট-মানুষ মনে করেন। এসব বলে আপনি আসলে নিজেকেই ছোট করছেন।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘তিনি যা বলছেন তার কোনো মানে হয় না। ঋদ্ধিমা যদি না চান যে তাঁর সন্তান সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকুক, তাহলে তাঁর মেয়ে ব্যক্তিগত রেখে কেবল বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারকে অ্যাক্সেস দিতে পারে। এই ধরনের বোকা বোকা কথা অর্থহীন।’
তৃতীয়জন লেখেন, ‘এরাতার মানে বাড়িতে যারা কাজ করে, তাদের সঙ্গে কীরকম ব্যবহার করে। এই কারণেই বলে অর্থ থাকলে, বা বড় বড় মানুষদের সঙ্গে মিশলেই ক্লাস আসে না। সঠিক শিক্ষার বড় অভাব।’
ঋদ্ধিমা প্রসঙ্গে
ঋদ্ধিমা পেশায় একজন জুয়েলারি ডিজাইনার। ২০০৬ সালে দিল্লির ব্যবসায়ী ভারত সাহানিকে বিয়ে করেন তিনি। ২০১১ সালে, দম্পতি তাদের একমাত্র সন্তান, কন্যা সামারাকে স্বাগত জানান।
এই সাক্ষাৎকারেই রণবীরের দিদিকে বলতে শোনা গিয়েছিল, তিনি চান তাঁর মেয়ে অ্যাকাউন্ট প্রাইভেট রাখুক। এদিকেসামারা আবার তা মানতে রাজি নয় একেবারে। ঋষি-কন্যা বলেছিলেন, ‘মাঝে মাঝে এটি আমাকে উদ্বিগ্ন করে, কারণ সে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর (সক্রিয়) থাকে, সে প্রায় প্রতিদিন তার ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করে। আমি চাইনি যে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলা সমস্ত ধরনের ট্রোলিং ওর ওপরে আসুক। ও আর পাঁচটা ১৩ বছরের মেয়ের মতোই। কোনও মানুষ যখন আপনার নামে খারাপ কথা বলে, স্পষ্টত তা আপনার মনে প্রভাব ফেলে। এসব ভেবেই আমি ওকে বলেছিলাম যে, হয় ওকে প্রাইভেট রাখতে হবে বা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। কিন্তু এতে ওর জবাব ছিল, প্রাইভেট রাখলে ফলোয়ার পাবে না!’