বর্তমানে ইকো ফ্রেন্ডলি পুজোর চল হয়েছে। যেখানে এমন জিনিস ব্যবহার করা হচ্ছে ঠাকুর তৈরিতে যা বাস্তুতন্ত্রে কোনও ক্ষতি করে না। এমনকী কোনও কোনও মাটির মূর্তিতে দেওয়া হয়েছে গাছের বীজ। যাতে পরে তা মাটির সঙ্গে মিশে গিয়ে সবুজায়নে সাহায্য করে। তবে গরম দুধ ঢেলে চকোলেটের গণেশকে গলিয়ে ফেলার চেষ্টা অবশ্যই চমকে দেওয়ার মতো।
ফুড ব্লগার চাহাত আনন্দ তাঁর গণেশ বিসর্জনের একটা ভিডিয়ো দিয়েছিলেন সোশ্যালে। যেখানে দেখা যাচ্ছে একটা বড় থালায় তিনি বসিয়েছেন চকোলেট দিয়ে তৈরি গণেশ মূর্তি। আর উপর থেকে ঢালছেন গরম দুধ। আর নিমেষে এই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। উঠতে থাকে সমালোচনার ঝড়। যদিও চাহাতের দাবি ছিল এটাকে পরে প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করা হবে তাতেও লোকের রাগ কমার নাম নিচ্ছে না।
একজন লিখেছেন, ‘ঠাকুরের পুজো নিয়েও এরা ভাইরাল হতে চায়। এরা চায় এমন চমক আনবে যে এদের সবাই চিনবে। কিন্তু একবার ভাবে না সমাজের বা মানুষের বিশ্বাসের যে ভাবাবেগ তাতে কতটা আঘাত পড়ছে।’ অপরজন লিখলেন, ‘গণেশকে আমরা নিজের সন্তানের মতো আদর করি। বিসর্জনে চোখের জল ফেলি। আর সেখানে গণেশের গায়ে গরম দুধ ঢালা হচ্ছে, এটা মানা যায় না।’
চাহাত নিজেও কিছু কমেন্টের উত্তর দিয়েছেন। মেনে নিয়েছেন গণেশের গায়ে গরম দুধ ঢালা তাঁর উচিত হয়নি। আসলে চাহাতের এভাবে ইকো-ফ্রেন্ডলি গণেশ পুজো কেউই মানতে পারেননি। মানুষ চাইছেন যেন প্রকাশ্যে ক্ষমা চান এই ফুড ব্লগার। এমনকী এফআইআর করার ডাকও এসেছে চাহাতের নামে।