তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভানেত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর বেশ বড় দায়িত্ব সায়নী ঘোষের কাঁধে। বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন তাঁর পাখির চোখ এখন লোকসভা ভোট। লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপিকে আটকানোই এখন তাঁর অন্যতম লক্ষ্য। আর এই কাজে যুবসমজাকে প্রভাবিত করতে লেগেছেন উঠেপড়ে। এমনই একটা পোস্ট থেকে বিতর্কের সূত্রপাত।
Debangshu Bhattacharya Dev Fam নামের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি স্টেটাস দেওয়া হয়। যেখানে লেখা হয়েছে, 'আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যেখানে বোন রয়েছে, সেখানে বাংলাকে ভাগ করতে দেব না'। এই লেখার শেষে ট্যাগ করা হয় তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর সেই পোস্টেই সায়নী মন্তব্য করেন, 'এদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। বাপ দেখেনি ছাগল, ছেলে মুরগি দেখেই পাগল কেস'।
এরপরেই ঘটে বেনজির ঘটনা। কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ চলতে থাকে সায়নীর মন্তব্য ঘিরে। যদিও সেসবের জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি তিনি। তাঁকে নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ তো কিছু নতুন নয়। তাঁর ‘শিবলিঙ্গে কন্ডম’ মন্তব্য ঘিরে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। তারপর তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখানোর পর সে আক্রমণ বাডড়তেই থাকে। কিছুদিন আগেই BJP নেতা তথাগত রায়ের রোষের মুখে পড়েছিলেন সায়নী। টুইটারে সায়নীকে টার্গেট করে তথাগত লিখেছিলেন, ‘শিবলিঙ্গে কনডম পরিয়ে (কবে পরিয়েছিলেন সেটা অবান্তর) আমার মতন তাবৎ হিন্দুকে, বিশেষত শিবভক্তদের, চরম অপমান করেছেন সায়নী ঘোষ।তাকে উত্তরোত্তর সম্মান দিয়ে হিন্দুদের কি বলতে চাইছেন মমতা ? আমি ভোটে জিতেছি, এবার যা খুশি করব। তোরা অসহায় হিন্দুরা কি করতে পারিস?’
আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে বিজেপি-র অগ্নিমিত্রা পালের কাছে হারলেও তৃণমূলের অন্দরে বেশ বড় সম্মান পেয়েছেন সম্প্রতি। এতদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় যে দায়িত্ব সামলাতেন তা পেয়েছেন তিনি। সেসময় এক সাক্ষাৎকারে সায়নী জানিয়েছিলেন, ‘এখন রাজনীতিই আমার ফার্স্ট প্রায়োরিটি। খুব ভালো স্ক্রিপ্ট হাতে না পেলে এই ২-৩ বছর অভিনয় করব না। রাজনীতিতে ও রাজ্যের মানুষের সেবায় মন দেব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ব।’