সইফ আলি খানের সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলছেন করিনা কাপুর খান। অবসর যাপনের সেই মুহূর্ত লেন্সবন্দি করে ভাগ করে নিয়েছিলেন অনুরাগীদের সঙ্গে।
কয়েক সেকেন্ডের এই ভিডিয়ো নিয়ে শুরু নেতিবাচক চর্চা। কেন জানেন?
করিনার পোস্টে মজার একটি মন্তব্য করেন সইফের বোন, অভিনেত্রী সোহা আলি খান। ননদের সেই মন্তব্যের উত্তরও দিয়েছেন বেবো। শুধু সোহা নন, সইফের আরেক বোন সাবা আলি খানও দাদা-বৌদির প্রশংসা করেন কমেন্ট বক্সে। কিন্তু বড় ননদের সেই মন্তব্যের কোনও উত্তর দেননি করিনা। পুরো বিষয়টি নেটিজেনদের চোখ এড়ায়নি। আর সেখান থেকেই যাবতীয় চর্চার সূত্রপাত।
সবার মন্তব্যের নীচে জনৈক লেখেন, 'উনি (করিনা) কখনওই আপনার মন্তব্যের কোনও উত্তর দেন না।' অন্য জন সমবেদনা জানিয়ে লিখেছেন, 'করিনা সব সময় আপনাকে এড়িয়ে চলেন। আমার খুব খারাপ লাগে'। সাবার সমব্যাথীদের এমনই অসংখ্য মন্তব্যে ভরে গিয়েছে করিনার পোস্টের কমেন্ট বক্স।
(আরও পড়ুন: করিনা-আলিয়ারা যেখানে বলছে, ‘ইচ্ছে না হলে দেখবেন না’, শাহরুখ বলছে ‘দর্শকরাই সব’)
এই প্রথম নয়। অতীতেও করিনার বিরুদ্ধে সাবাকে 'পাত্তা' না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বারবার।
শর্মিলা ঠাকুরের জ্যেষ্ঠ কন্যা সাবা। পেশায় অলঙ্কার শিল্পী। শৈশব থেকেই তিনি লাজুক স্বভাবের। মা-দাদা-বোনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পর্দার সামনে আসেননি। বেছে নিয়েছিলেন অন্য পথ। তবে তাঁর ইনস্টাগ্রাম জুড়ে শুধুই পরিবার। মা থেকে আদরের ভাইপো-বোনঝি,দাদা-বৌদি, সকলের ছবি পোস্ট করেন ইনস্টাগ্রামে। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কাউকেই সেই ছবিগুলিতে মন্তব্য করতে দেখা যায় না।
(আরও পড়ুন: করিনার হাত ধরে ক্যামেরার সামনে পাউট তৈমুরের! 'জেহ কোথায়?’, প্রশ্ন নেটিজেনের)
অতীতে করিনার সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন সাবা। কিন্তু ননদের সেই পোস্টে সইফ-পত্নীর কোনও মন্তব্য দেখা যায়নি। সাবাকে খোঁচা দিয়ে জনৈক লেখেন, ‘করিনা তো আপনার মন্তব্যের উত্তর পর্যন্ত দেন না। আর আপনি ওঁর সঙ্গে ছবি পোস্ট করে চলেছেন।’ চুপ থাকেননি সাবা। তাঁর সাফ উত্তর, 'আমি আমার বৌদিকে ভালোবাসি। নিজের কাছে সৎ থাকা জরুরি।'