বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > পটকার সঙ্গে বাবিনের 'রুক্ষ' আচরণে ক্ষুদ্ধ ‘খড়কুটো’ ভক্তরা, এবার কী হবে?

পটকার সঙ্গে বাবিনের 'রুক্ষ' আচরণে ক্ষুদ্ধ ‘খড়কুটো’ ভক্তরা, এবার কী হবে?

কাকা-ভাইপোর ‘ঝগড়া’য় মন খারাপ অনুরাগীদের

বাবিন বাড়াবাড়ি করেছে, পরিবারের ‘এভারগ্রিন’কে শীঘ্রই পুরোনো মেজাজে দেখতে চান ‘খড়কুটো’প্রেমীরা। 

গুনগুন-সৌজন্যের দুষ্টু-মিষ্টি ঝগড়ার উপর ভর করিয়েই টিআরপি তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ‘খড়কুটো’। বর্তমানে বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম চর্চিত ধারাবাহিক তৃণা সাহা ও কৌশিক রায় অভিনীত ‘খড়কুটো’। এই সিরিয়ালে পার্শ্ব চরিত্রেও অভিনয় করছেন একাধিক দুঁদে অভিনেতা। সৌজন্যের ছোটকাকা অর্থাত্ পটকার ভূমিকায় অম্বরীশ ভট্টাচার্য এখন সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। পটকার হাসিখুশি,চনমনে মেজাজ এই সিরিয়ালের প্রাণভ্রমরা। পটকার মন খারাপ দেখে মন ভেঙেছে দর্শকদেরও।আর পটকার এই বিষণ্ণতার জন্য দায়ী গল্পের নায়ক সৌজন্য ওরফে বাবিন।

গুনগুন-সৌজন্যর বিয়ের পর হানিমুনের জন্য দলবল বেঁধে সকলে শান্তিনিকতনে যাওয়ার প্ল্যান। তবে সৌজন্য কাজের চাপে ঘুরতে যাবে না তা সাফ জানিয়ে দেয়। কিন্তু ভাইপোকে তাঁর নতুন বউয়ের কাছে পৌঁছে দিতে ফন্দি আঁটে পটকা। গুনগুন অসুস্থ এই বায়নায় কলকাতা থেকে বাবিনকে ডেকে আনে শান্তিনিকতনে। তবে গোটা ঘটনা জানবার পর মেজাজ হারিয়ে পটকার সঙ্গে রুক্ষ আচরণ করে বসে সৌজন্য। তাই পটকা চিঠি লিখে সাত তাড়াতাড়ি বেড়ানোর প্ল্যান বাতিল করে কলকাতা ফিরে আসে। শপথ নেয়, আর কখনও কোনওদিন কারুর সঙ্গে কোনও মজা করবে না। 

‘খড়কুটো’প্রেমীরা বাবিনের এই বকাবকিতে দুঃখ পেয়েছে বেজায়। ক্ষোভ উপচে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ লিখছেন, ‘পটকা খড়কুটোর অক্সিজেন। আর অক্সিজেন ছাড়া আমরা বাঁচব না।’ আবার কেউ লিখলেন, ‘পটকার হাসিখুশি মুখটা খুব শীঘ্র দেখতে চাই’।পরিবারের এভারগ্রিনকে ফিরে পেতে মরিয়া ভক্তরা। একজন তো সাফ লিখেই ফেলেছেন, ‘বাবিনের উচিত পটকার কাছে ক্ষমা চাওয়া’।

বাড়ছে ক্ষোভ
বাড়ছে ক্ষোভ
মন খাপার দর্শকদের
মন খাপার দর্শকদের

গোটা বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন পটকা। আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে অভিনেতা বলেন, ‘সব কৃতিত্ব লীনাদির (গঙ্গোপাধ্যায়)। একটা চরিত্রকে মানুষ সব সময় এক রকম ভাবে দেখে এলে, তার মধ্যে কোনও রকম পরিবর্তন আনার সাহস পান না লেখকরা। তবে লীনাদি কিন্তু সেটাই করে দেখিয়েছেন’।

আট থেকে আশি, সব বয়সী দর্শকদের পছন্দের চরিত্র পটকা। তিনি শীঘ্রই আবার স্বমেজাজে ফিরে আসবেন আশ্বাস ছিলেন অম্বরীশ। তবে বাবিনকে কিন্তু তাঁর রাগ ভাঙাতে যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হবে, সেই সচেতনতাও দিয়ে রাখলেন। পটাকার মানভঞ্জন পর্ব গুনগুন-সৌজন্যকে আরও খানিকটা কাছাকাছি আনবে, তেমনটাই ইঙ্গিত মিলছে। 

বন্ধ করুন