কাগজে কলমে এখন স্বামী-স্ত্রী তাঁরা। তবে সম্পর্কটা অনেক বছর আগেই ভেঙে গিয়েছে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। তবে এখনও তাঁরা বন্ধু। বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেও ‘সহজ’ সমীকরণ তাঁদের। তাই ‘পাশে বসে ‘সহজ’ সম্ভাবনার হিসেব কষতে’ শুরু করেছেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা।
রবিবাসরীয় বিকালে ফেসবুকে ‘নতুন শুরু’র ঘোষণা করলেন রাহুল। পাশে কাগজের তোড়া হাতে রাহুল-প্রিয়াঙ্কার একমাত্র পুত্র, সহজ ও পাশে প্রিয়াঙ্কা স্বয়ং। এই ছবির ক্যাপশনে রাহুল ইংরাজিতে লিখেছেন, ‘নিউ বিগিনিং’। ঠিক কোন শুরুর কথা বলছেন রাহুল? ফেসবুকের পাতায় এই ছবি দেখেই কথাবার্তা শুরু চারিদিকে। হাজারো প্রশ্ন নেটিজেনদের মনে। তাহলে কি ফের এক হচ্ছেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা?
না, বিষয়টি একেবারেই তা নয়। আসলে রাহুল এবার পরিচালকের আসনে। আর এই শুরুর সঙ্গেই নতুন শুরু হচ্ছে সহজরেও। বাবার পরিচালনায় প্রথমবার ক্যামেরার সামনে আসবে সহজ। ছবির নাম ‘কলকাতা ৯৬’। সেই ছবির চিত্রনাট্যটি ছেলের হাতে তুলে দিয়েছেন রাহুল। সেই ছবিই তুলেছেন প্রযোজক রাণা সরকার।
একই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে রাণা সরকার লিখেছেন, 'কলকাতা ৯৬ - চিরদিনই তুমি যে আমার'। আসলে রাজ চক্রবর্তীর ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর সঙ্গেই শুরু হয়েছিল রাহুল-প্রিয়াঙ্কার প্রেমের সফর। তারপর বিয়েটাও চটজলদি করে ফেলেন দুজনে। টেকেনি সেই বিয়ে, আলাদা হয়েছেন তবে ছেলের জন্য তাঁদের সম্পর্কটা আজও ‘সহজ’।
‘কলকাতা ৯৬’-এর কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ রাহুলের। সহজের বয়সী একটা চরিত্র থাকায় ছেলের কথাই প্রথম মাথায় আসে। আপত্তি জানাননি প্রিয়াঙ্কাও। বাবার ছবিতে হাতেখড়ি হবে ছেলের ভেবে নিশ্চিন্ত তিনি। এই প্রসঙ্গে নিউজ ১৮ বাংলাকে রাহুল জানান, 'প্রিয়াঙ্কা আমাদের ছেলে সহজকে নিয়ে বেশ খুঁতখুঁতে। ও কোথায় থাকবে, কী করবে, এ সব নিয়ে খুব দুশ্চিন্তা করে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে করছে না কারণ গল্পটা ওর ভাল লেগেছে। শ্যুটিংয়ের প্রথম দিন তো সেটে থাকবেই প্রিয়াঙ্কা। তার পর ওর নিজের ব্যস্ততা সামলে মাঝে মধ্যে সেটে আসবে।'
নামেই স্পষ্ট ১৯৯৬ সালের কলকাতা উঠে আসবে এই ছবিতে। পরিচালক আগেই জানিয়েছেন তিন দিনের গল্প বলবে এই ছবি। ১৯৯৬-এর ২২ জুন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় লর্ডসের মাঠে সেঞ্চুরি করেন, যেটা রাহুলের ছবির কেন্দ্রে থাকছে। তবে এটা কোনওভাবেই সৌরভের বায়োপিক নয়, সাধারণ বাঙালির গল্প বলবে ‘কলকাতা ৯৬’।