বেশ কিছু নতুন জটিলতা দেখা দিয়েছে শুটিং করার ক্ষেত্রে। গতকাল ৬-ই জুন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনই জানানো হয়েছে আর্টিস্ট ফোরামের পক্ষ থেকে। করোনার কারণে এতদিন সব রকম শুটিং বন্ধ ছিল টলি পাড়ায়। ১০ জুন থেকে আবার ক্যামেরা চলবে ইন্ডাস্ট্রিতে, শুরু হবে মেগা সিরিয়ালের শুটিং। কিন্তু নতুন করে শুটিং করার ক্ষেত্রে লাগু হয়েছে বেশ কিছু কড়া নিয়ম কানুন। সেই নিয়মের ক্ষেত্রেই কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে। তাই যতক্ষন না সেই জটিলতা কাটছে ততক্ষন ফোরাম সকল সদস্যদের অনুরোধ করেছে, কারও কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে ধৈর্য্য ধরে একটু অপেক্ষা করতে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনার মাধ্যমে সবকিছু স্থির করেই জানানো হবে সকলকে।
মাসের শুরুতেই জানা গিয়েছিল ১০-ই জুন থেকে মেগা সিরিয়ালের শুটিং শুরু হবে, এবং ১৫-ই জুন থেকে টেলিকাস্ট হবে চ্যানেলে। পাঁচ দিনের ব্যাঙ্কিং সম্বল করে, জোড় কদমে চলবে কাজ। পরিস্থিতির নিরিখে সমস্ত রকম বিধি নিয়ম মেনে চলবে শুটিং। গত ৪-ই জুন একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় ১০ তারিখ থেকে শুটিং শুরু করবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি। সেই বিজ্ঞপ্তিতে এও জানানো হয় যে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে শুটিং সংক্রান্ত নতুন নিয়ম এবং সুরক্ষাবিধির বিস্তারিত খবর জানানো হবে সদস্যদের। জুনের ৮ তারিখে খুলবে ফোরামের অফিস। ৪-ই জুনের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে যা যা জানানো হয় সেগুলি হলো--
১) প্রতিটা আর্টিস্টের জন্য থাকবে আলাদা মেক-আপ কিট। প্রডাকশনের তরফ থেকে দেওয়া হবে ওই কিট। যতদিন কাজ চলবে ততদিন সেই ব্যক্তিগত মেক-আপ কিটই ব্যবহার করতে হবে। কাজ শেষ হয়ে গেলে প্রডাকশনকে ফিরিয়ে দিতে হবে সেই মেক-আপ কিট।
২) হেয়ার ড্রেসার, কস্টিউম ডিপার্ট্মেন্ট এবং মেক-আপ আর্টিস্টদের মাস্ক এবং পি পি ই কিট ব্যবহার করা আবশ্যক। প্রত্যেক বিরতির পর মেক-আপ রুম স্যানেটাইজ করা হবে। একসঙ্গে দু'জনের বেশি শিল্পী মেক-আপ রুম ব্যবহার করতে পারবেন না।
৩) আর্টিস্টরা তাঁদের কস্টিউম বাড়ি থেকে নিয়ে আসবেন। কন্টিনিউটি কস্টিউম বাড়িতে নিয়ে যেতে হবে, এবং বাড়ি থেকে তা কেচে পরিষ্কার করে এনে আবার সেটা পরে ফ্লোরে কাজ করবেন।
৪) শুটিং ইউনিট ৩৫ জনের বেশি করা যাবে না। কোনও ঘনিষ্ট দৃশ্যের শুটিং এখন হবে না। শুট শেষ হলেই তাঁদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
৫) ৬৫ বছরের বেশি বয়সের শিল্পিদের ক্ষেত্রে মুচলেকা লিখে জমা দিলে তবেই তাঁরা শুটিং করতে পারবেন। শিশু শিল্পীদের ক্ষেত্রে ১০ বছরের কম এমন বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করা যাবে না। শুটিং করতে এসে কেউ করোনা আক্রান্ত হলে রাজ্য সরকার তাঁর চিকিতসার ভার নেবে।
৬) শুটিং করতে এসে বা শুটিং চলা কালীন যদি কোনও শিল্পী বা টেকনিশিয়ানের মৃত্যু হয় করোনা আক্রান্ত হয়ে, সেক্ষেত্র ২৫ লক্ষ সাস্থ্য বীমা করা হবে।