আগন্তুক-এর আগমনে লন্ডভন্ড মুখার্জি পরিবারের সম্পর্কের ইকুয়েশন। পটকা নিজের বন্ধুর ছেলে বলে পরিচয় দিয়ে যাঁকে বাড়িতে নিয়ে এসেছে, কে সেই আদিল? জেঠুমণি এবং সৌজন্য শুরু থেকেই বেশ সন্দেহের চোখে দেখছে আদিলকে। কারণ পটকা ক্ষণে ক্ষণে নিজের বক্তব্য পালটাচ্ছে। কখনও বলছে আদিলের বাড়ি উত্তরপ্রদেশ, কখনও বলছে মধ্যপ্রদেশ। তবে একটা দাবিতে পটকা অটল, ‘ওর পরিবারকে আমি অনেকদিন ধরে চিনি, জানি’। সিরিয়ালের প্রমোতে দিন কয়েক আগেই পটকাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘তোর সঙ্গে আমার রক্তের সম্পর্ক’। এরপর থেকেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পটাকার সঙ্গে বা মুখার্জি পরিবারের সঙ্গে কী সম্পর্ক এই মুসলিম ছেলের?
ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক এপিসোডে আদিলের পরিচয় বেশ খানিকটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। জ্যাঠাইয়ের বড় মেয়ে মুনিয়ার উল্লেখ এর আগেও চিত্রনাট্যে এসেছে। মুনিয়া এমন কোনও ভুল করেছিল যার জন্য আজও তাঁকে ক্ষমা করতে পারেনি জ্যাঠাই। কী সেই ভুল? কে মুনিয়া? তা আজও পরিষ্কার নয়।
রবিবারের এপিসোডে জ্যাঠাই-বড়মা দুজনেই আদিলের কথা শুনে নিজেদের মেয়ের কথা মনে করেছে। মুনিয়াও রবি ঠাকুরের গান ছাড়া এক মুহূর্ত বাঁচতে পারে না, যেমনটা আদিলের মা পারে না বলে জানিয়েছে। পাশাপাশি আদিলের তাবিজে মুনিয়ার নামও খোদাই করা রয়েছে। দুয়ে দুয়ে চার করে নিতে অসুবিধা হয়নি দর্শকদের। খড়কুটোর ভক্তরা প্লটও সাজিয়ে ফেলেছেন, ভিন ধর্মে বাড়ির অমতে বিয়ে করেছিল মুনিয়া সেই কারণেই জ্যাঠাই কোনও সম্পর্ক রাখেনি মেয়ের সঙ্গে। আর মুনিয়ারই ছেলে আদিল। সুতরাং মুখার্জি পরিবারের নাতি সে।
গল্পের আগামী পর্বে এই রহস্যের জাল খুব জলদি খুলে যাবে, এখন সেইদিকেই তাকিয়ে দর্শকরা। আদিলের চরিত্রে ইতিমধ্যেই ঋষভ বসু নজড় কেড়েছে দর্শকদের। মুনিয়ার চরিত্রেও ইন্ডাস্ট্রির খুব পরিচিত একজনেই দেখা যাবে বলে খবর।