টিআরপির লড়াইয়ে গত কয়েক সপ্তাহে ‘মিঠাই’ আর ‘কৃষ্ণকলি’র চেয়ে একটু পিছিয়ে পড়েছে ‘খড়কুটো’। তাই এবার কাহিনিতে নয়া টুইস্ট। গল্পের নতুন মোড় হল শীঘ্রই মুখোপাধ্যায় পরিবারে আসছে নয়া অতিথি। বাংলা বছরের প্রথম দিনই এই সুখবর পেল দর্শকরা! যার জেরে বেজায় খুশি খড়কুটোর ভক্তরা।
আর এই খুশির মূলে রয়েছেন ঋজু-মিষ্টি। হ্যাঁ, মা হতে চলেছে মিষ্টি। তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা সে। ছোট মা বেশ কয়েকদিন ধরেই খেয়াল করছিলেন যে তেঁতুলের আচার খাচ্ছে মিষ্টি। নতুন বছরের প্রথম দিনই বমি করে চলেছে সে। গুনগুনের নজর এড়ায়নি মিষ্টির এই অবস্থা। যদিও এই বমির কারণ সম্পর্কে এক্কেবারেই ধারণা নেই গুনগুনের। কিন্তু পরিবারের অভিজ্ঞ সদস্যের বুঝে নিতে এক মুহূর্তও লাগেনি যে মিষ্টির এই শরীর খারাপের আসল কারণ কী।
এরপরই বড়মা, ছোটমা, পুটুপিসি সকলেই সুখবর দিয়ে দেয় বাড়ির সক্কলকে, একমাত্র গুণগুণ ছাড়া। অথচ মিষ্টির অবস্থা থেকে নাজেহাল গুনগুন। এমনকি ‘ড্যাডি’কেও ফোন করে দ্রুত বাড়িতে ডেকে নেয় সে। অথচ শ্বশুড়বাড়ির কারুরই মিষ্টির 'শরীর খারাপ' নিয়ে যেন হেলদোল নেই। সকলে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে ভাসছে, হাসছে, মিষ্টি খাওয়ার কথা বলছে- কিন্তু এই হিসাব মেলাতে পারছে না। সৌজন্যও ‘রিস্ক' নিয়ে গুনগুনকে মিষ্টির প্রেগন্যান্সির খবর বলতে রাজি নয়। তবে রূপাঞ্জন কিন্তু সৌজন্যকে চুপিচুপি পরামর্শ দিয়ে ফেলেছে, ‘দাদাভাই যদি এই বয়সে অঘটন ঘটাতে পারে তবে তুমিও স্যাট করে পারবে’।
শুক্রবারের এপিসোডেও মিষ্টির গর্ভবতী হওয়ার খবর জেনে উঠতে পারবে না গুনগুন। সৌজন্যকেই গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মিষ্টির এই মিষ্টি সুখবর গুনগুনের কাছে পৌঁছে দেওয়ার। ‘কিন্তু তোমাকে (গুনগুন) নিয়ে যে আমি কী করব’, সেই ভেবেই অস্থির সৌজন্য। গুনগুন-সৌজন্য এবার কাকা-কাকিমা হতে চলেছে, আগামিতে এই জুটির রসায়ন আরও গাঢ় হবে সেই অপেক্ষাতেই দর্শক।
অনান্য ধারাবাহিকে যখন বর্ষবরণের ব্যস্ততা তখন অন্যপথে হাঁটল টিম ‘খড়কুটো’। তবে খড়কুটোর এই নতুন টুইস্টে সবচেয়ে বেশি স্বতঃস্ফূর্ত লাগল রূপাঞ্জনকে। সদ্যই বাবা হয়েছেন অভিনেতা রাজা গোস্বামী, পর্দায় পিসিমশাই হতে চলেছেন। তবে নতুন অতিথির আগমন বার্তায় দারুণ খুশি সকলেই।