মিঠাই-এর ননদের বিয়ে ঘিরে এতদিন তোলপাড় ছিল ধারাবাহিক, একের পর এক টুইস্ট শেষে তুতো বোন নিপাকে উদ্ধার করতে সফল হয়েছে গল্পের নায়ক সিদ্ধার্থ। কিন্তু রাতুলের সঙ্গে নিপার বিয়েটা পাকাপাকিভাবেই ভেঙে গিয়েছে, রাতুলের বাড়ির লোক নিপাকে বউমা করতে রাজি নয়। সকলের কথা মেনে রাতুলকে বিয়ে করতে শেষমেষ রাজি হয়েছে শ্রীতমা। যদিও বোনের এইভাবে বিয়েতে একবারেই খুশি নয় সিদ্ধার্থ। রাতুল-নিপা-শ্রীতমা'র এই ত্রিকোণ বিয়ের জালের আটকে দর্শক কিছুটা হলেও মিঠাই-সিদ্ধার্থের ডিভোর্স কথা ভুলে ছিল। কিন্তু আচমকাই বোমা ফাটল। চ্যানেলের তরফে সামনে এসেছে নতুন প্রোমো। আর সেখানেই দেখা যাচ্ছে মিঠাই-সিদ্ধার্থের ডিভোর্সের দিন এগিয়ে এসেছে, প্রোমোতে তোর্সার মা সিদ্ধার্থকে সাফ জানায়, 'আগামী সোমবার তোমাদের ডিভোর্সের দিন'। এইকথা শুনে চমকে যায় মিঠাই।
বাংলা টেলিভিশনের এক নম্বর সিরিয়াল মিঠাই। সৌমিতৃষা আর আদৃতের রাসয়ন, যৌথ পরিবারের আদর্শ, আর ত্রিকোণ প্রেমকে হাতিয়ার করেই সাফল্য পেয়েছে এই ধারাবাহিক। তবে এখন প্রশ্ন হল সত্যি কি মিঠাই আর সিদ্ধার্থের বিবাহবিচ্ছেদটা হবে ?, নাকি শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসবে সিদ্ধার্থ। মিঠাইয়ের গুরুত্ব ইতিমধ্যেই একটু একটু করতে বুঝতে শুরু করেছে সিদ্ধার্থ। নিপার বিয়ে ভাঙা এবং শ্রীতমার বিয়েও বেশ কিছু শিক্ষা দেবে সিদ্ধার্থকে তা বেশ স্পষ্ট। এই কঠিন পরিস্থিতিতেও সিদ্ধার্থের দুই বোনের সম্পর্ক ভেঙে যেতে দেয়নি, বরং দুজনের মিল করিয়ে দেবে। অন্যদিকে শ্রীতমার মতোই পরিস্থিতির চাপে পড়েই মিঠাইকে বিয়ে করেছিল সিদ্ধার্থ, সেটাও দোটানায় ফেলবে তাঁকে। মিঠাই-সিদ্ধার্থের ডিভোর্সের ট্র্যাক নিয়েও দ্বিধাবিভক্ত মিঠাই ভক্তরা। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বলছে ডিভোর্স হলে, তবেই মিঠাইয়ের মূল্য বুঝবে সিদ্ধার্থ।
জি বাংলার এই ধারাবাহিকের গল্পের নায়িকা মিঠাই মিষ্টির কারিগর। তাঁর হাতে বানানো মনোহরার প্রশংসক আট থেকে আশি সকলেই। অন্যদিকে পরিস্থিতির জালে আটকেই নামী মিষ্টি প্রতিষ্ঠানের মালিক সিদ্ধেশ্বর মোদকের পরিবারের বউ হয়ে আসে সে। সারা বাড়ি মিঠাই মাতিয়ে রাখলেও পুরোনো প্রেম ভুলতে না-রাজ সিদ্ধার্থ। অথচ একটু একটু করে মিঠাই-এর প্রতিও নরম হচ্ছে তাঁর মন। মিঠাই-সিদ্ধার্থকে কাছে আনতেই ডিভোর্সের মিথ্যা টোপ দিয়েছিলেন দাদু, সেই জল কতদূর গড়াবে এখন সেটাই দেখবার।