পাহাড় মানেই অনেকে রোমাঞ্চ আর রহস্য খুঁজে পায়। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে সরু-বাঁকা পথ, কুয়াশার চাদর আর দু'ধারে সারি সারি গাছ, একটা আলোআধারির খেলা চলে। রোমহর্ষক ষড়যন্ত্র, পর পর খুন এবং তার সূত্র অনুসন্ধান করে সিরিয়াল কিলিং- এর তদন্তের নিয়ে পাহাড়ের কোলে জন্ম এই থ্রিলারে মোড়া কাহিনির।
কালিম্পঙে পাহাড়ের কোলে শ্যুটিংয়ের দল। এই দলে ২ জন নায়িকা, একজন লম্পট প্রযোজক, প্রযোজকের এক বখাটে ভাই, একজন কেতাদুরস্ত নায়ক, একজন বেপরোয়া সিনেমাটোগ্রাফার, একজন বদ-মেজাজী পরিচালক, একজন ম্যানেজার, একজন স্ক্রিপ্ট লেখক, একজন খলনায়ক ও ২ জন সহকারী পরিচালক রয়েছেন। যাদের চরিত্র এবং বৈশিষ্ট্যগুলি গল্পের মোড়কে ধীরে ধীর প্রকাশিত হয়েছে। একের পর এক রহস্যজনক খুন নিয়ে ‘কালিম্পং ক্রাইমস’।
এই সিরিজের পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন তপন সাহা। মূলত একটি সিনেমা তৈরির শ্যুটিং-এর গল্পের প্রেক্ষাপটে, অন্তর্নিহিত আর একটি 'গল্প' নিয়ে এই ওয়েব সিরিজ। কালিম্পংয়ের কুয়াশাচ্ছন্ন ডেলো'তে একটি পুরনো ব্রিটিশ ট্যুরিস্ট লজে শুরু হয় ঘটনাপ্রবাহ।
এক বিচিত্র ডাক্তার রায়চৌধুরী এসে ডেলোয় পৌঁছোয়, যার পুরোনো দিনের অস্ত্র সংগ্রহের শখ রয়েছে। একদিকে গল্পের ভেতরে তৈরি হওয়া ছবির নায়ক, দুই অভিনেত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে থাকে। অন্যদিকে প্রযোজক দয়াল ও সায়রা নামে এক অভিনেত্রীর মধ্যেও কুৎসিত বিবাদ শুরুর হয়। দুই নায়িকা, মল্লিকা এবং সায়রার মধ্যে জটিলতা বাড়তে থাকে। সেই রাতেই অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় সায়রার।
ঘটনায় নিহারিকা সেন নামে একজন গোয়েন্দার আবির্ভাব হয়। পুলিশ একজন বিশেষ তদন্তকারী সায়নী ব্রক্ষ্মকে এই মামলায় নিযুক্ত করে। এই মহিলা অফিসার বুঝতে পারেন যে আসলে নীহারিকা একজন ভুয়ো গোয়েন্দা। রহস্য আরও বাড়তে থাকে। এরইমধ্যে নিকটবর্তী নদীতে একটি ভাসমান মৃতদেহ হিসাবে ডাক্তারের দেহ পাওয়া যায়। সন্দেহ ও পাল্টা সন্দেহে - গল্পের প্রতিটি চরিত্রেরই 'সন্দেহজনক উদ্দেশ্য' রয়েছে বলে মনে হতে থাকে। এমনকি প্রযোজককেও রহস্যজনকভাবে হত্যা করা হয়। এই ধারাবাহিক খুনের নেপথ্যে কে? সায়নী কি পারবে তদন্তের কিনারা করতে? সেই রহস্যের সমাধান হবে ৬ অগস্ট। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ক্লিকে মুক্তি পাচ্ছে এই ওয়েব সিরিজ।
এই ওয়েব সিরিজের মধ্যে ওটিটিতে ডেবিউ করছেন অভিনেত্রী দেবলিনা দত্ত ও সৃজনী মিত্র। এই সিরিজে আরও অভিনয় করছেন, অর্জুন চক্রবর্তী, পায়েল মুখোপাধ্যায়, ত্রম্বক রায়চৌধুরী, রানা বসু ঠাকুর, রাহুল বর্মন, ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। গল্প লিখেছেন অমিতাভ ভট্টাচার্য। সম্পাদনার দায়িত্বে রয়েছেন কৌস্তুভ সরকার।