এবার আর্টিস্ট ফোরামের উদ্দেশ্যে সরাসরি তোপ দাগলেন প্রযোজকরা। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, এই সমঝোতাহীন অবস্থায় কোনও মতেই শুটিং করবেন না। যতদিন পর্যন্ত করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক না হয়, ততদিন বন্ধ থাকবে শুটিং।
প্রযোজকদের কথা অনুযায়ী, চ্যানেল, ফেডারেশন এবং প্রযোজকরা শুটিং শুরু করার সিদ্ধান্তে একমত হলেও আর্টিস্ট ফোরাম নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে আপত্তি তুলছে! এই অসহযোগিতায় তাই এই মুহূর্তে তাঁরা শুটিং শুরু করতে পারছেন না।
প্রযোজকদের এই সিদ্ধান্তে প্রায় বাজ পড়ার মতো অবস্থা টলিউডের শিল্পী ও কলাকুশলীদের। তিন মাসের কাছাকাছি বন্ধ টলিপাড়া। এই লকডাউনের বাজারে রোজগারের কোনও উপায়ও নেই, এতদিন পর শুটিং শুরু হওয়ার খবরে সকলেই বেশ আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রযোজকদের এই সিদ্ধান্তে ভেঙে পড়েছেন অনেকেই।
গত কয়েকদিন ধরে আর্টিস্ট ফোরামের সঙ্গে প্রযোজকদের, শুটিং শুরু করার নিয়মাবলী এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিমা ইত্যাদির স্বাক্ষরিত নির্দেশিকা পাওয়া নিয়ে একটা চাপানউতোর চলছিল। আর্টিস্ট ফোরামের কথা অনুযায়ী, বারবার অনুরোধ করার পরও তাদের কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। তাহলে কোন ভরসায় তাঁরা কাজ করবেন? কোনও সদস্য যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে দায়িত্ব কে নেবে? বা যদি শুটিং করতে এসে অন্য কোনও সমস্যা তৈরি হয়, তাহলে কে সামলাবে? কারণ পরিস্থিতি এখন খুবই জটিল। তার মধ্যেই ১০ জুন শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল, অথচ ৯ জুন পর্যন্ত SOP অর্থাৎ ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’ প্রকাশ করা হয়নি। শুটিং শুরুর আগে এই স্বাক্ষরিত SOP নির্দেশিকা প্রকাশ হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রত্যেকের সুরক্ষা এবং ভবিষ্যত নির্ভর করছে SOP-র উপর।
এই পরিস্থিতিতে তাই আর্টিস্ট ফোরামের পক্ষ থেকে সকল সদস্যদের জানানো হয়, ১০ জুন থেকে শুটিং শুরু হওয়ার পর কোনও সমস্যা হলে ফোরাম কোনও দায়িত্ব নেবে না। নিজের দায়িত্বেই শুটিং সংক্রান্ত সব কাজ এবং সমস্যা সামলাতে হবে। ফোরামের এই বক্তব্যের পর থেকেই এক অস্থির পরিবেশ তৈরি হয় আর্টিস্ট মহলে। এদিকে তার মধ্যেই প্রযোজকদের এই শুটিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে আবার নতুন করে অন্ধকারে টলিউড ইন্ডাস্ট্রি।