মাত্র ৪১ বছরেই জীবনের রঙ্গমঞ্চ থেকে বিদায় নিলেন ব্রডওয়ে থিয়েটারের জনপ্রিয় তারকা নিক করদেরো। করোনা কেড়ে নিল টনি পুরস্কারের জন্য মনোনীত এই অভিনেতার প্রাণ। ভারতীয় সময়ানুসারে সোমবার সকালে অভিনেতার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন স্ত্রী আম্যান্ডা কলুটস। ইনস্টা পোস্টে তাঁর পত্নী লেখেন, ভগবানের কাছে স্বর্গে এখন আরও একজন দেবদূত রয়েছে। আমার প্রিয় স্বামী আজ সকালে চলে গেছেন। যখন তিনি এই পৃথিবী ছাড়লেন পরিবারের ভালোবাসা তাঁকে ঘিরে রেখেছিল। আমরা সবাই ওঁর জন্য প্রার্থনা করেছি।…আমি হেসেছি কারণ তুমি লড়াই করেছে। তোমাকে এভাবেই ভালোবেসে যাব আজীবন,আমার আদরের মানুষটিকে'।
গত ৩১ মার্চ থেকে লস অ্যাঞ্জেলসের এক হাসপাতালে কোভিড-১৯-এর সঙ্গে লড়াই করছিলেন অভিনেতা। দীর্ঘদিন ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল নিক করদেরোকে। সংজ্ঞাহীন অবস্থাতেই ছিলেন তিনি। এপ্রিল মাসে করোনাজনিত সমস্যার কারণে অভিনেতার ডান পা পর্যন্ত বাদ দিতে হয়েছিল।মে মাসে জ্ঞান ফেরে করদেরোর। তবে চিকিত্সকরা জানান করোনার জেরে করদেরোর ফুসফুস প্রায় অকেজো হয়ে গিয়েছে। দিন কয়েক আগেই তাঁর দুটি ফুসফুসই বাদ দিতে হবে বলে জানিয়েছিলেন স্ত্রী অ্যামান্ডা কলুটস। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
২০১৪ সালে উডি অ্যালানের ছবি বুলেটস অভার ব্রডওয়ে (১৯৯৪)-র ব্রডওয়ে অ্যাডপশনে সেনার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ব্যাপক প্রশংসা কুড়োন করদেরো। এর জন্যই টনি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হন তিনি। এছাড়াও ‘ওয়েট্রেস’, ‘এ ব্রোনস্ক টেল’-এর মতো জনপ্রিয় ব্রডওয়ে শোতে সাড়া ফেলেছে তাঁর অভিনয়। এছাড়াও ‘ব্লু ব্লাড’, ‘ল অ্যান্ড ওর্ডার: স্পেশ্যাল ভিক্টিমস ইউনিট’-এর মতো টেলিভিশন শোতেও অভিনয় দক্ষতার ছাপ রেখে গেলেন নিক করদেরো।
ব্রডওয়ে থিয়েটারের সুবাদেই স্ত্রী আম্যান্ডা কলুটস সঙ্গেও পরিচয় হয়েছিল করদেরোর। বুলেট ওভার ব্রডওয়ে শোতে একসঙ্গে পারফর্ম করেছিলেন তাঁরা। কলুটস প্রাক্তন ব্রডওয়ে ডান্সার। ২০১৭ সালে বিয়ের পর্ব সারেন তাঁরা। নিক ও আম্যান্ডার পুত্র এলভিস সদ্যই এক বছর পূর্ন করেছে। নিক করদেরোর মৃত্যুতে শোকের ছায়া ব্রডওয়ে থিয়েটার জগতে।