অভিনেতা নিকিতিন ধীর সম্প্রতি তাঁর উরুতে করা নতুন ট্যাটুকে ঘিরে একটি বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছেন, তাঁর উরুতে যে ট্যাটু করিয়েছেন তিনি সেটার সঙ্গে হিন্দু পুরাণে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তাঁর উরুতে খোদাই করা উল্কিটিতে একটি রুদ্র বীণা দেখা গিয়েছে, ঐতিহ্যগত ভাবে এই বীনার যোগ রয়েছে ভগবান শিবের সঙ্গে এবং কিছু ক্ষেত্রে, রাবণের সঙ্গেও এর যোগ রয়েছে। তাছাড়াও এই বীণাকে ঘিরে রয়েছে সংস্কৃত শব্দ 'এক অহম দ্বিতীয় নাস্তি' বাংলার যার অনুবাদ করলে দাঁড়ায় 'আমি এক, সেখানে দ্বিতীয় কেউ নেই।' এই বাক্য শিবের প্রতি তাঁর অতুলনীয় মহত্ত্ব এবং ভক্তির প্রতি রাবণের বিশ্বাসের প্রতীকে তুলে ধরে।
তবে তাঁর এই উরুর ট্যাটুর ছবি অনলাইনে প্রকাশ্যে আসতেই তা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে, কিছু ব্যবহারকারী ভুল করে এই রুদ্র বীণাকে রঘুনাথ বীণা হিসাবে চিহ্নিত করেছেন, যা দেবী সরস্বতীর সঙ্গে যুক্ত। একজন ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, 'ভাই ইয়ে সরস্বতী বীণা হেন ইস লেগ পে নি বানওয়ানা থা (অর্থাৎ ভাই এটি সরস্বতী বীণা এটি আপনি আপনার পায়ে আঁকিয়ে ঠিক করেনি) অন্য একজন লিখেছেন, 'শরীরের ভুল জায়গা'।
আরও পড়ুন: প্রথম অভিযোগ এনেছিলেন তিনিই, অরিন্দম সাসপেন্ড হতেই রূপাঞ্জনা বললেন, 'দরকারে আবার লড়াইয়ে নামব'
তবে সমালোচনায় বিচলিত না হয়ে, ধীর বলেছেন, 'যাঁরা রাবণকে বোঝেন তাঁরা ট্যাটুর প্রশংসা করেছিলেন। রাবণ ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ শিবভক্ত। তিনি ছিলেন অত্যন্ত জটিল চরিত্র এক ব্যক্তি। তাঁর জীবন থেকে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে যা আমাদের শেখায় কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়। তাঁর ব্যক্তিত্বের বেশ কিছু দিক সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক ছিল। কিন্তু যাঁদের সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, যাঁদের আমাদের ইতিহাস, পৌরাণিক কাহিনী ইত্যাদির গভীর জ্ঞান নেই, তাঁদের দৃষ্টি খুব ক্ষুদ্র, সীমিত। তাই এটা মন্দবুদ্ধির লক্ষণ, তাই তাঁদের কথার পরোয়া করিনা।'
একটি টিভি শোতে 'রামায়ণ'-এ রাবণের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পরিচিতি পেয়েছিলেন ধীর, এই ধারণাটিকেও তিনি খারিজ করে দেন যে একটি ধর্মীয় উল্কি শরীরের নির্দিষ্ট অংশে 'কিশোর' হিসাবে স্থাপন করা যায় না। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, 'আমি আমার হাতে একটি মহাদেবের ট্যাটু করিয়েছি, এবং সেখানেও অনেকে বলেছেন, এখানে বানানো ঠিক হয়নি। আমাদের শেখানো হয় যে আমাদের শরীর একটি মন্দির; তাই শরীরের কোনও অঙ্গই অপবিত্র নয়।'