মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ের স্ক্রিপ্ট রেডি হওয়ার পরই নাকি প্রযোজক নিখিল আডবানি বুঝেছিলেন তিনি এমনই কিছু চেয়েছিলেন। আর তাঁর সেই বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়েছিল যখন রানি মুখোপাধ্যায় তাঁর প্রস্তাবে হ্যাঁ বলেছিলেন। সকলেই জানেন রানি তাঁর কাজের বিষয়ে কতটা খুঁতখুঁতে। তিনি যখন এই ছবির মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করার হ্যাঁ বলেন তখন তো আর সেটা নিয়ে প্রশ্নই থাকে না। বিশেষ করে যখন তিনি গত এক দশকে সমস্ত ছবিই যশ রাজ ফিল্মসের ব্যানারে করেছেন, শুধুমাত্র ২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া বম্বে টকিজ ছাড়া।
তাহলে কি এই ছবির জন্য রানি মুখোপাধ্যায়কে রাজি করাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল? প্রযোজক এই বিষয়ে বলেন স্ক্রিপ্টটাই যথেষ্ট ছিল। তাঁর কথায়, 'ওটা একটা বৃহস্পতিবার ছিল যেদিন আমি ওকে স্ক্রিপ্ট দিয়েছিলাম। ও আমায় জানিয়েছিল যে সোমবারের মধ্যে আমায় জানাবে যে এই ছবি ও করবে কিনা। আমি যখন সোমবার ওকে ফোন করি তখন রানি আমায় জানায় যে শুক্রবারই এই ছবি নিয়ে সে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যে এটি ও করবে। এটাই স্ক্রিপ্টের ক্ষমতা।'
এটা কেউই অস্বীকার করতে পারবেন না যে ২০১১ সালে যে ঘটনাটি ঘটেছিল নরওয়েতে সেটা কতটা ভয়ঙ্কর। সাগরিকা আর অনুরূপ ভট্টাচার্যর সন্তানদের কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। নরওয়েজিয়ান ওয়েলফেয়ার সার্ভিসের তরফে অবহেলার অভিযোগ তুলে শিশুগুলোকে ওদের থেকে কেড়ে নেওয়া হয়। সেটাই এই ছবিতে উঠে এসেছে। এই ছবির মুখ্য ভূমিকায় আডবানির একমাত্র পছন্দ ছিলেন রানি। এই প্রসঙ্গে প্রযোজক বলেন, 'আপনার যদি পাওয়ারহাউজ অভিনেতার প্রয়োজন হয়, যিনি সমস্ত ধরনের অনুভূতি নিখুঁত ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন তাহলে সেই তালিকায় প্রথম যাঁর নাম থাকবে তিনি হলেন রানি। আর এই ছবির মুখ্য চরিত্র একজন বাঙালি, রানি নিজেও বাঙালি। ফলে এর থেকে ভালো অপশন আর কিছু হতেই পারত না।'
২০২১ সালে এই ছবির শ্যুটিং হয়। এস্তোনিয়ায় শ্যুটিং হয় এই ছবির। তিন মাসে শ্যুটিং শেষ করা হয়। ছবিটির পরিচালনা করেছেন অসীমা চিববার।