আরজি করের ঘটনায় কার্যত থমকে গিয়েছে টলিপাড়া। তবে গত কয়েকমাস ধরে টলিপাড়ার অন্দরে ভাঙনের সুর জোরালো। খাদান-এর টিজার মুক্তি পেয়েছে বৃহস্পতিবার। তবে সোশ্যাল মিডিয়াতেও খাদান নিয়ে চুপ যিশু। দেবের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে কোলাব পোস্টে সায় জানিয়েছেন, এইটুকুই!
সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন যিশু। আপ্ত সহায়ক শিনাল সূর্তির সঙ্গে এখন লিভ ইন করছেন নায়ক, চর্চা এমনটাই। তাঁদের সম্পর্ক নাকি আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছে! আনুষ্ঠানিকভাবে ডিভোর্সের পথে হাঁটার পরিকল্পনাও নাকি শুরু করেছেন নীলাঞ্জনা। দুই মেয়ে এই কঠিন সময়ে আগলে রেখেছেন মা-কে। নীলাঞ্জনার পাশে রয়েছেন তাঁর বোন চন্দনাও।
যিশুর পদবি সরিয়েছেন, এমনকী যিশুর প্রযোজনা সংস্থা থেকেও নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন নীলাঞ্জনা। নিজের হাতে গড়েছিলেন যিশু উজ্জ্বল প্রোডাকশন, তবে খবর আজকাল আর হরগৌরীর সেটে দেখা যায় না নীলাঞ্জনাকে। দুই মেয়ে সারা-জারার নামে গড়েছেন ‘নিনিচিনিস মাম্মাস প্রোডাকশন’। আগামী মাসেই এই প্রযোজনা সংস্থার প্রথম মেগা ‘আনন্দী’ আসছে জি বাংলায়।
টলিউডের এক সময়ের ‘পাওয়ার কপল’-এর বিচ্ছেদ যে স্পষ্ট তা আর গোপন নেই। ওদিকে খাদানের টিজার মুক্তির দিনই নীলাঞ্জনা ফিরলেন, ২১ বছর বয়সে! ইনস্টাগ্রাম রিলে ইঙ্গিত দিলেন, মন ও মাথার দ্বন্দ্বে জয় হবে কার! প্রযোজক-অভিনেতা কিলিয়ন মার্ফির একটি সাক্ষাৎকার ভাগ করে নিলেন নীলাঞ্জনা। সেখানে অভিনেতা বলছেন, ‘২১ বছরে ফিরে গেলে মাথার আগে মনকে এগিয়ে রাখব।' সম্মতি প্রকাশ করে নীলাঞ্জনা লেখেন, ‘মাথা নয়, মনই সব।'
নীলঞ্জনা সত্যিই মনকেই এগিয়ে রেখেছিলেন। ২০০২ সালের দুর্গাপুজোর অষ্টমীতে শুরু হয়েছিল যিশু-নীলাঞ্জনার প্রেমের গল্প। হিন্দি টেলিভিশনে ‘হিপ হিপ হুররে’ সিরিয়ালে অভিনয় করে সাড়া ফেলেছেন অঞ্জনা ভৌমিকের বড় মেয়ে। তবে কেরিয়ার তাকে তুলে ঘর বাঁধার সিদ্ধান্ত নেন নীলাঞ্জনা। ২০০৪ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন যিশু-নীলাঞ্জনা। এরপর মাতৃত্বই হয়ে ওঠে নীলাঞ্জনার জীবনের একমাত্র প্রায়োরিটি। দুই মেয়ে সারা-জারাকে ঘিরেই তাঁর জীবন। এর জন্য কোনও আক্ষেপ নেই নীলাঞ্জনার।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নীলাঞ্জনা বলেছেন, ‘মানুষের জীবনে প্রায়োরিটি সময়ে সময়ে চেঞ্জ হয়। প্রত্য়েক মানুষকে বুঝতে হবে, জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে তোমাকে কিছু একটা বেছে নিতে হবে, আর সেটায় বিশ্বাস করতে হবে। ৬ বছর আগে কাজ ছেড়ে দেওয়ার কোনও রিগ্রেট আমার নেই। সবার জীবনেই কোনও না কোনও কঠিন পরিস্থিতি আসবে, বিশ্বজুড়েই অশান্ত পরিবেশ আমরা দেখছি। তবে সবার উপরে কর্মফল এটা মনে রাখতে হবে।’