২০২৪-টা একের পর এক বিচ্ছেদের মধ্যে দিয়ে কেটেছে নীলাঞ্জনার। স্বামী যিশুর সঙ্গে বিচ্ছেদ, মা অঞ্জনা ভৌমিকের মৃত্যু, একের পর এক ধাক্কায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। তবে কঠিন সময় তাঁর পাশে ছিল দুই মেয়ে সারা, জারা ও বোন চন্দনা। তবে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই সামলে উঠেছেন নীলাঞ্জনা।
তবে মা-কে হারানোর কষ্ট কি আর ভোলা যায়! ১৭ ফেব্রিয়ারি সোমবার অঞ্চনা ভৌমিকের মৃত্যু বার্ষিকীতে আরও একবার স্মৃতিমেদুর হয়ে উঠলেন নীলাঞ্জনা। মা অঞ্জনা ভৌমিককে জড়িয়ে ধরার পুরনো এক আবেগঘন একটি ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। সেখানে অঞ্জনা ভৌমিকের গালে চুমু এঁকে দিতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। ছবিতে মেটে রঙের সালোয়ার কামিজে দেখা যাচ্ছে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীকে। তাঁর কপালে একটা বড় টিপ। হাসিমুখে ধরা দিয়েছেন তিনি। আর নীলাঞ্জনা নীল রঙের টপ পরে দেখা যাচ্ছে।
ছবিটি পোস্ট করে নীলাঞ্জনা লিখেছেন, ‘১৭.২.২০২৪ (মৃত্যুদিন), আর আজ এক বছর হল।’ ফের লেখেন, ‘তেরে হোতে কিসকা ডর...,তু দুয়াওঁ কা হ্যায় ঘর...,মেরি মা...,পেয়ারি মা…’।
সম্প্রতি মায়ের ১ বছরের বাৎসরিক কাজও সেরে ফেলেছেন নীলাঞ্জনা। সেদিন অঞ্জনা ভৌমিকের অল্প বয়সের একটা সাদাকালো ছবিতে মালা ও ফুল দিয়ে সাজিয়ে, তার সামনে ফুল-মালা রেখে, বাতি জ্বালিয়ে ছবি পোস্ট করেছিলেন প্রাক্তন অভিনেত্রী তথা প্রযোজক। সেদিন পাশে ছিলেন তাঁর সঙ্গে ছোটমাসি, মেসোমশাই, মামিমা, মাসতুতো দাদা-বৌদিরা। তবে সেসময় বড় মেয়ে সারা ছিলেন মুম্বইয়ে। অন্যদিকে, ছোট মেয়ে জরার স্কুলে তখন পরীক্ষা চলছিল।
সেদিন এক সাক্ষাৎকারে নীলাঞ্জনা শর্মা বলেন, ‘এই দিনগুলোতে আরও বেশি করে বুঝতে পারি, যে আমি কতটা একা। সহানুভূতি তো অনেকেই জানান, তবে নিজের লড়াই তো নিজেকেই লড়তে হয়। সারা ওজারার জন্মের পর মা আমার পাশে এমন ভাবে ছিলেন, তা ১০ জন পুরুষের সমান। মায়ের থেকেই শিখেছি যে, জীবনে পিছন ফিরে তাকাতে নেই। জীবনের কোনও সঙ্কট এলে তখন একমাত্র মাকেই মিস্ করি’। তাঁর কথায়, জীবনে লড়াইয়ের পাঠ তিনি তাঁর মায়ের থেকেই পেয়েছিলেন। বলেন, মা চলে যাওয়ার পরই তিনি যেভাবে ব্যক্তিগত সমস্যার মোকাবিলা করেছেন তা হয়ত তিনি অঞ্জনা ভৌমিকের মেয়ে না হলে হয়তো পারতেন না।
এদিকে যিশু সেনগুপ্তের সঙ্গে আলাদা হওয়ার পর ইতিমধ্যেই নিজের নামের পাশ থেকে সেনগুপ্ত পদবী সরিয়ে ফের আগের শর্মা পদবীটিই বসিয়ে নিয়েছেন নীলঞ্জনা।