২০২৪-টা নীলাঞ্জনার জীবনে ঘটে গিয়েছে একের পর এক অঘটন। যিশু সেনগুপ্তের সঙ্গে দু'দশকের দাম্পত্য ভেঙেছে। আবার গত বছরই ফেব্রুয়ারি মাসে মাকে হারিয়েছিলেন নীলাঞ্জনা। দেখতে দেখতে অভিনেত্রী অঞ্জনা ভৌমিকের মৃত্যুর পর কেটেছে ১ বছর। সম্প্রতি মায়ের ১ বছরের বাৎসরিক কাজ সারলেন নীলাঞ্জনা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নীলাঞ্জনা তাঁর মা অঞ্জনা ভৌমিকের ছবির সামনে ফুল-মালা রেখে, বাতি জ্বালিয়ে দুটি ছবি পোস্ট করেছেন। একটি ছবিতে শুধু প্রয়াত অভিনেত্রী অঞ্জনা ভৌমিককে দেখা যাচ্ছে। অপরটিতে লালপাড় সাদা শাড়ি পরে মানের ছবি আগলে আনমনে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে নীলাঞ্জনাকে। পোস্টের ক্যাপশানে শুধু মৃত্যুর তারিখটি উল্লেখ করেছেন প্রাক্তন অভিনেত্রী তথা প্রযোজক।
নীলাঞ্জনা জানিয়েছেন মায়ের মৃত্যুর ১ বছর হয়ে গিয়েছে, তবে তিনি এখনও তাঁর অনুপস্থিতি বেশ অনুভব করেন। আনন্দবাজারকে আবেগঘন হয়ে নীলাঞ্জনা জানান, সময়ের সঙ্গে মানুষ বাস্তবকে বুঝতে শেখে। তিনিও সময়ের সঙ্গে নিজেকে বোঝনোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু আজকে সেই শূন্যতা আরও বেশি করে তাঁর মনকে নাড়া দিয়ে গিয়েছে। আজকে তাঁর মায়ের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলোই বেশি করে মনে পড়ছে।
যিশুর সঙ্গে আলাদা হওয়ার পর দুই মেয়ে সারা ও জারাকে আগলেই দিন কাটছে নীলাঞ্জনার। ইতিমধ্যেই নিজের নামের পাশ থেকে সেনগুপ্ত পদবীও সরিয়ে ফেলেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের ডিটেলসে নিজের পদবী বদলে করে নিয়েছেন পুরনো পদবী, অর্থাৎ সেখানে লেখা নীলাঞ্জনা শর্মা।
এই মুহূর্তে নীলাঞ্জনার বড় মেয়ে সারা মুম্বইয়ে। অন্যদিকে, ছোট মেয়ে জ়রার স্কুলে পরীক্ষা চলছে। তাই মায়ের শ্রাদ্ধ প্রায় একা হাতেই সেরেছেন নীলাঞ্জনা। তবে এদিন তাঁর সঙ্গে ছোটমাসি, মেসোমশাই, মামিমা, মাসতুতো দাদা-বৌদিরা ছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
নীলাঞ্জনার কথায় ‘এইরকম দিনগুলোতে আরও বেশি করে বুঝতে পারি, আমি কতটা একা। সহানুভূতি তো অনেকেই জানান, তবে নিজের লড়াই তো নিজেকেই লড়তে হবে। সারা ওজারার জন্মের পর মা আমার পাশে এমন ভাবে ছিলেন, তা ১০ জন পুরুষের সমান। মায়ের থেকেই শিখেছি যে, জীবনে পিছন ফিরে তাকাতে নেই। জীবনের কোনও সঙ্কট এলে তখন একমাত্র মাকেই মিস্ করি’। নীলঞ্জনার কথায় জীবনে লড়াইয়ের পাঠ তিনি মায়ের থেকেই পেয়েছিলেন। বলেন, মা চলে যাওয়ার পরই তিনি যেভাবে ব্যক্তিগত সমস্যার মোকাবিলা করেছেন তা হয়ত তিনি অঞ্জনা ভৌমিকের মেয়ে না হলে হয়তো পারতেন না