বিগত বেশ কিছু মাস ধরেই কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে যিশু সেনগুপ্ত এবং নীলাঞ্জনা নাকি বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন। যদিও তাঁরা এখনও এই বিষয়ে কেউই মুখ খোলেননি আনুষ্ঠানিক ভাবে। তবে প্রযোজকের বেশ কিছু সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখে বোঝা যায় অল ইজ নট গুড! এদিন নীলাঞ্জনা তাঁর জীবন নিয়ে কী জানালেন বিচ্ছেদের চর্চার মাঝে?
আরও পড়ুন: আশা জাগিয়েও ভরাডুবি? ১ কোটিও ছুঁল না বুধবারের আয়! ৬ দিনে কত ব্যবসা করল কঙ্গনার ইমারজেন্সি?
কী জানালেন নীলাঞ্জনা?
সদ্যই শেষ হল হরগৌরী পাইস হোটেল ধারাবাহিকের পথ চলা। দীর্ঘ প্রায় দুই বছর পথ চলার পর সদ্যই শ্যুটিং শেষ হল এই মেগার। আর সেই অনুষ্ঠানেই নীলাঞ্জনা জানালেন তিনি ভীষণ ইমোশনাল। যদিও এখন স্ট্রং হয়ে গিয়েছেন। এই বিষয়ে তিনি বলেন, 'ইমোশনাল হয়ে পড়লে কেউ সামলায় না। নিজেকে নিজে সামলাতে হয়। আমি খুব ইমোশনাল মানুষ। কিন্তু গত ১-২ বছরের মধ্যে আমি নিজেকে খুবই ইমোশনালি শক্তিশালী বানিয়ে ফেলেছি। জীবন মানুষকে ইমোশনালি শক্তিশালী বানিয়ে দেয়। কিন্তু আজকে আমাদের ইউনিটের সবাই এত ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছিল যে আমার কাছে আর কোনও অপশন ছিল না। স্ট্রং থাকতেই হতো।' তিনি এদিন আরও বলেন, 'এত ভালো ভালো স্মৃতি আছে না। সেগুলো নিয়েই থাকব।'
হরগৌরী পাইস হোটেল যেমন একটা সময় লাগাতার ভালো টিআরপি দিয়েছে, আবার তাতে পতনও দেখা গিয়েছে। এই চাপে বিষয়ে এদিন তিনি জানান, 'কেউ সবসময় উপরে থাকে না। কখনও না কখনও তার পতন হবেই। সবসময় টিআরপি একই থাকবে এমনটা নয়। ওঠা পড়া তো থাকেই। এই চাপটা তো থাকেই। এটাই জীবনের অংশ।'
খারাপ লাগা নিয়ে কী বললেন নীলাঞ্জনা?
জীবনে কোনও খারাপ লাগা এলে সেটা কীভাবে সামলান সেই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এদিন টলি টাইমকে নীলাঞ্জনা বলেন, 'কেউ তোমায় কোনও বিষয় নিয়ে খারাপ লাগাতে পারে না যতক্ষণ না তুমি সেটা নিয়ে খারাপ থাকতে চাইছ না কষ্ট পেতে চাইছ। মানুষ তাই যা ইচ্ছে হয় বলতে পারে, তোমায় নিচু করতে পারে, তোমার টেনে নামানোর প্ল্যান করতে পারে। কিন্তু কিছু যায় আসে না। ২০২৫ এর নতুন শপথ কেউ যদি আমায় নিয়ে কিছু বলে, করে তাহলে তাঁদের সেটা করতে দাও। কারণ যাঁরা তোমায় চেনেন তাঁরা এসব কিছুই বলবেন না। যাঁরা চেনেন না তাঁরাই এসব বলবেন। কে কী বলল যায় আসে না। আমার মেয়েরা সত্যিটা জানে, আমি সত্যিটা জানি, আমার বাবা জানে। আর আমার পরিবার আমার সঙ্গে আছে। যে কোনও সফলতা, নাম, খ্যাতির থেকে পরিবার অনেক উপরে।'
সারা জারাও কি তাঁদের মায়ের থেকেই এই শক্ত থাকার শিক্ষা পায়? এই বিষয়ে নীলাঞ্জনার সাফ উত্তর, 'জীবন সব থেকে বড় শিক্ষক। আর জীবনই তোমায় সবে খারাপ বা তিক্ত শিক্ষাগুলো দেয়। সত্য সবসময়ই রুঢ় হয়। ওরা জীবন থেকেই শিখছে শক্ত থাকতে। আর আমার মনে হয় এটাই সবথেকে ভালো এবং বড় শিক্ষক।'