যিশু-নীলাঞ্জনার দাম্পত্য কলহের খবরে উত্তাল টলিপাড়া! ২০ বছরের বিয়ে ভাঙছে টলিগঞ্জের এই দম্পতির, এই খবর কার্যত পাকা। বউ-মেয়েদের সাথে নাকি বাক্য বিনিময় বন্ধ যিশুর। নায়কের জাতীয় স্তরের কেরিয়ারই নাকি কাল হয়ে দাঁড়াল দাম্পত্যে! ম্যানেজার শিনাল সূর্তির প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন যিশু, খবর এমনটাই।
সদ্য মা-কে হারিয়েছেন নীলাঞ্জনা। স্বামী আর বন্ধুর থেকে এমন আঘাত পাবেন তা দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করেননি। টলিপাড়ায় চর্চা, শীঘ্রই যিশুকে ডিভোর্স নোটিশ ধরাবেন অভিনেত্রী-প্রযোজক। যে শিনালকে বন্ধু হিসাবে বাড়িতে জায়গা দিয়েছিলেন, সেই শিনালই স্বামীকে কেড়ে নেবে এই কথাটা মেনে নিতে পারছেন না নীলাঞ্জনা। শুধু লিভ ইন নয়, শিনালের সঙ্গে যিশুর সম্পর্ক আরও একধাপ এগিয়েছে বলেও জল্পনা। ডিভোর্স নিয়ে একটা শব্দও উচ্চারণ করতে না-রাজ।
তবে যিশুর সঙ্গে তাঁর সব বাঁধন ধীরে ধীরে আগলা হচ্ছে। যিশু উজ্জ্বল প্রোডাকশনের সিরিয়াল হর গৌরী পাইস হোটেলের জন্য রবিবার রাতে পুরস্কৃত হয়ে সেটের চাওয়ালার নাম নিলেও যিশুর নাম মুখে আনেনি নীলাঞ্জনা। সঙ্গে ঘোষণা করেছেন নিজের নতুন প্রযোজনা সংস্থা, ‘নিনি-চিনিস মাম্মাস প্রোডাকশন’। বুঝিয়ে দিয়েছেন স্বামী-শ্বশুরের নামের সঙ্গে আর নিজেকে জুড়ে রাখতে চান না তিনি। দুই মেয়ে সারা ও জারার ডাকনাম নিনি ও চিনি। সেই নামেই তাঁর নতুন সংস্থা। ডিভোর্স জল্পনার মাঝে প্রথমবার সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন নীলাঞ্জনা। আম অর্পিতা নামের এক ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নীলাঞ্জনা বলেন, ‘মায়ের মৃত্যুর পর আমার দুই মেয়ে যেভাবে পাশে থেকেছে, যেভাবে আগলে রেখেছ, তাই এই পুরস্কার যখন হাতে নিলাম ওদের দুজনকে নিয়ে উঠলাম। সেই কারণে ওদের নামেই আমার প্রযোজনা সংস্থা’।
নীলাঞ্জনা আরও বলেন, ‘আমি আমার ১১ বছরের মেয়ে জারার থেকে অনুপ্রাণিত হয়। খুব বিজ্ঞদের মতো কথা বলে। আমার মা হিসাবে আমাকে ভয়ও পায়। কিন্তু আমারা বন্ধুদের মতো, আমার কাছে যা আছে যতটুকু আছে তার জন্য আমি ভগবানের কাছে কৃতজ্ঞ।’ এখন তাঁর প্রথম পরিচয় সারা ও জারার মা। নীলাঞ্জনা আরও জানান, মেয়েরা তাঁকে ‘সেলফ লাভ’ শেখাচ্ছে। বললেন,'এত ছোট বয়স থেকে বুঝে গেছে তোমাকে নিজেকে ভালোবাসতে হবে, নিজেকে খুশি থাকতে হবে, তাহলেই সবাইকে ভালো রাখতে পারবে। এই উইসডমটা আমি মেয়েদের কাছ থেকেই পাই'।
নীলাঞ্জনা যোগ করেন, ‘মানুষের জীবনে প্রায়োরিটি সময়ে সময়ে চেঞ্জ হয়। প্রত্য়েক মানুষকে বুঝতে হবে, জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে তোমাকে কিছু একটা বেছে নিতে হবে, আর সেটায় বিশ্বাস করতে হবে। ৬ বছর আগে কাজ ছেড়ে দেওয়ার কোনও রিগ্রেট আমার নেই। সবার জীবনেই কোনও না কোনও কঠিন পরিস্থিতি আসবে, বিশ্বজুড়েই অশান্ত পরিবেশ আমরা দেখছি। তবে সবার উপরে কর্মফল এটা মনে রাখতে হবে।’
২০১৮-১৯ সাল থেকে যিশুর যাবতীয় কাজকর্মের দেখাশোনা করেন শিনাল। যিশুর গোটা কেরিয়ারই নিয়ন্ত্রণ করেন এই সেলিব্রিটি ম্যানেজার। আপতত সেলফ লাভ আর ভগবানে বিশ্বাস রেখেই নিজের মতো করে জীবনটা গুছিয়ে নিচ্ছেন নীলাঞ্জনা।