মুম্বইয়ে নীনা গুপ্তার যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৮০-র দশকের গোড়ার দিকে, যখন তিনি দিল্লি থেকে চলে এসেছিলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি কখনোই ভাড়ার পথ বেছে নেননি। পরিবর্তে, নিজের অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করে, তার সঙ্গে কিছু জমানো টাকা মিলিয়ে পরবর্তী বাড়িটি কিনেছিলেন। মাঝে এরকমই েকটি বাড়ি বদল করার সময়, একবার নিজের মাসির বাড়িতে গিয়ে উঠেছিলেন। আর সেই সময় ঘটে গিয়েছিল এই অনভিপ্রেত ঘটনা।
পেছন ফিরে তাকান নীনা
Housing.com ইউটিউব চ্যানেলের একটি এপিসোডে কথোপকথনের সময়, নীনা শেয়ার করেছিলেন যে তিনি একটি বিল্ডারের সর্বশেষ প্রকল্পে তিনটি বিএইচকে ফ্ল্যাট বুক করেছিলেন। যার জন্য তাঁর তৎকালীনবাসস্থান বিক্রি করে নতুন সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করেন, আর এর ফলে তাঁর আর্থিক অবস্থা সাময়িকভাবে বেশ খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এই সময় তাঁকে নিজের মাসি ও কাকার সঙ্গে থাকতে হয়।
নীনা বলেন, 'আমি আমার খালার (মাসি) বাড়িতে চলে যাই, যেখানে আমি আগে থেকেছি। আমি ভেবেছিলাম যে একসময় এই মাসির বাড়িতে কত থাকতাম। শুধু ঘুমনোর সময় নিজের বাড়ি আসতাম। আর মাসাবাও ছোট। আমার খালা বাচ্চারও দেখাশোনা করতে পারবেন। কিন্তু একদিন সে আমাকে মাঝরাতে বের করে দেয়। আমার কাছে কোনো টাকাও অবশিষ্ট ছিল না। এমন েকটা রাত যখন বাচ্চা (মাসাবাকে) নিয়ে আমার কোথাও যাওয়ার ছিল না।
নীনা প্রকাশ করেছিলেন যে তার চাচার (কাকার) হঠাৎ হৃদয় পরিবর্তন হয়েছিল এবং তাঁকে জুহুর একটি খালি ফ্ল্যাটে থাকার বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘কাকু আমাকে জুহুতে তাঁর শাশুড়ির বাড়িতে থাকতে দেন, যা ২০ বছর ধরে বন্ধ ছিল। ঘরে মাকড়সার জাল ছিল, জিনিসপত্রে মরচে ধরে গেছিল। আমি সেখানে গিয়েছিলাম এবং আমি ওই ছোট বাচ্চাটিকে নিয়েই সেই ঘর পরিষ্কার করেছি। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে আমাকে ওই বাড়িও ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়।’
নীনা জানান, সেই বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছিল সেই বিল্ডারই। নীনা ওই ব্যক্তির কাছে গিয়ে নিজের হতাশাজনক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছিলেন। আর সেই ব্যক্তি অভিনেত্রীকে পুরো টাকাটা ফিরিয়ে দেন, যাতে তৎক্ষণাত একটি মাথা গোঁজার ঠাঁই জোগাড় হয়। নীনা জানান, ‘একটি পয়সাও কাটা হয়নি’। এরপর নীনা আরাম নগরে একটি বাড়ি কেনেন এবং মেয়ে মাসাবাকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
নীনার ব্যক্তিগত জীবনে উঁকি
নীনা গুপ্তা ১৯৮০ এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ক্রিকেটার ভিভিয়ান রিচার্ডসের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। পরে, ১৯৮৯ সালে নীনা মাসাবা গুপ্তাকে স্বাগত জানান, যাকে তিনি একা মা হিসাবে বড় করেছিলেন। ভিভিয়ান নীনার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার সময় বিবাহিত ছিলেন এবং নীনার জন্য নিজের স্ত্রীকে ছেড়ে দিতে অস্বীকার করেছিলেন। ২০০৮ সালে বিবেক মেহরার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন নীনা। তবে কোনো দিনই সন্তাের পিতৃপরিচয় লুকিয়ে রাখেননি নীনা। মাসাবার বিয়েতে এসেওছিলেন ভিভিয়ান।