অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। দুটি জমকালো প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠান, তারপর ঐতিহ্য মেনে আচার-অনুষ্ঠানে ভরা এক সপ্তাহ ব্যাপী বিয়ের নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে দম্পতি একসঙ্গে তাঁদের পথ চলা শুরু করেছেন। এই সমস্ত উৎসব জুড়ে, আম্বানি পরিবার তাঁদের ফ্যাশনেবল সব পোশাক এবং নানান দামি দামি চোখ ধাঁধানো গয়নায় সকলের নজর কেড়েছে। নীতা আম্বানি এবং ইশা আম্বানির পান্না থেকে রাধিকা মার্চেন্ট ও শ্লোকা মেহতার হীরে আম্বানি পরিবারের মহিলাদের বিরল সংগ্রহের প্রশংসা এখন সকলের মুখে মুখে। তবে এই সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়ে যা নজর কেড়েছে তা হল অনন্ত আম্বানির পাগড়ির চূড়া বা সার্পেচ।
জুয়েলারি ব্র্যান্ড 'কান্তিলাল ছোটালাল', যারা নীতা আম্বানির বিরল হলুদ হীরের নেকলেস এবং ইশার গোলাপী হীরের গয়না-সহ আম্বানি পরিবারের মহিলাদের গয়নার ডিজাইন করেছেন, তাঁরাই অনন্তের পাগড়ির চূড়া বা কলগিটি ডিজাইন করেছেন। তারা ইনস্টাগ্রামে এই গয়নাটির বিবরণও দিয়েছেন। তাদের মতে, 'নীতা তাঁর বহু বছরের ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে সলিটায়ার ব্যবহার করে পাগড়ির চূড়া বা সার্পেচটির নকশা করেছিলেন।'
আরও পড়ুন: মা নীতার ২০০ কোটির বাজুবন্ধ পরে বিয়ে করলেন অনন্ত, এর সঙ্গে রয়েছে মুঘলদের যোগ!
ব্র্যান্ডটি জানায়, অনন্তের পাগড়ির চূড়া বা সার্পেচটি নানা পাথর দিয়ে সাজানো হয়েছে, যেমন- রক্ত বর্ণের বার্মিজ রুবি, ব্যাগুয়েট-কাট হীরে। আর এই সবই ছিল নীতার ব্যক্তিগত সংগ্রহে। রুবিটি মুঘল ঐতিহ্যের প্রতীক, অন্যদিকে ব্যাগুয়েট-কাট হীরে সাহসের প্রতীক। অনন্ত বিয়ে করতে যাওয়ার সময় এই পাগড়ির চূড়াটি বেছে নিয়েছিলেন। এই সার্পেচ পরে তাঁকে বরযাত্রীদের সঙ্গে নাচ করতেও দেখা গিয়েছিল। বিয়ের সময় এটিকে তিনি ব্রোচ হিসেবে পরেছিলেন। ব্র্যান্ডটির মতে, 'মাঝে একটি বড় হীরে রেখে এটিকে ময়ূর মোটিফে তৈরি করা হয়েছিল। যা অনন্তের বন্যপ্রাণীর প্রতি ভালোবাসার প্রতীক।' অনন্ত একই জুয়েলারি ব্র্যান্ডের ডিজাইন করা হীরের বোতাম কুর্তায় পরেছিল, যা ওই চূড়ার সঙ্গে বেশ মানানসই হয়েছিল। হীরের বোতামগুলি 'রুবি, রোজকাটস এবং গ্রেডেড হীরে দিয়ে তৈরি হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিয়ের পর জামনগরে প্রথম পা রাখলেন অনন্ত-রাধিকা! ঢাক-ঢোল বাজিয়ে হল অভ্যর্থনা, পাতা হল গোলাপের কার্পেট
অনন্ত আম্বানির সম্পর্কে
অনন্ত আম্বানি হলেন নীতা আম্বানি এবং এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, মুকেশ আম্বানির কনিষ্ঠ পুত্র। ১০ এপ্রিল, ১৯৯৫ সালে মুম্বইতে জন্মগ্রহণ করেন, অনন্তের দুই বড় ভাই-বোন রয়েছেন। তাঁরা হলেন ইশা আম্বানি এবং আকাশ আম্বানি। তিনি মুম্বইয়ের ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং তারপরে রোড আইল্যান্ডের ব্রাউন ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক করেন।
অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের সম্পর্কে
মুম্বইয়ে জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠানে রাধিকা মার্চেন্টের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন অনন্ত আম্বানি। এই দম্পতি ১২ জুলাই বিয়ে করেন, তারপর ১৩ তারিখ শুভ আশির্বাদ এবং ১৪ জুলাই প্রীতিভোজের অনুষ্ঠান হয়। অনেক বলিউড তারকা, আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটি, ইন্ডাস্ট্রি টাইকুন এবং রাজনীতিবিদেরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।