গত মঙ্গলবার আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় রাজ কাপুরের ছোট ছেলে রাজীব কাপুরের। গত বছর এপ্রিলে দীর্ঘ রোগভোগের পর মৃত্যু হয়েছে ঋষি কাপুরের, মাত্র ৯ মাসের ব্যবধানে আরও এক ভাইকে হারালেন বর্ষীয়ান অভিনেতা রণধীর কাপুর। সোমবার (গতকাল) ছিল অভিনেতার ৭৪ তম জন্মদিন। আর রণধীরের জন্মদিনকে স্মরণীয় করে তুলতে রবিবার রাতে কাপুর পরিবারের বাংলোয় জড়ো হয়েছিলেন করিনা, সইফ, করিশ্মা, রণবীর, আলিয়ারা। এর জেরে ব্যাপক সামালোচনার মুখে পড়ে গোটা কাপুর পরিবার। সকলেরই প্রশ্ন পরিবারের সদস্যের মৃত্যুর পর এক সপ্তাহও পার করেনি, কীভাবে সেলিব্রেশনের মুডে অন্যরা?
বয়সে ১৬ বছরের ছোট ভাইকে হারিয়ে কার্যত ভেঙে পড়েছেন রণধীর। এখন তিনি একাই রয়ে গেলেন, রাজ কাপুর ও কৃষ্ণ কাপুরের পাঁচ সন্তান। তিন ছেলে-রণধীর, ঋষি, রাজীব এবং দুই মেয়ে ঋতু ও রিমা। তিন ভাই-বোনকে ইতিমধ্যেই হারিয়েছেন রণধীর-রিমা।

স্পটবয়ই-এর কাছে যাবতীয় সমালোচনা ও ট্রোলিং নিয়ে মুখ খুললেন রণধীর। ভাইয়ের মৃত্যুর শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে না পারা বর্ষীয়ান অভিনেতা বলেন, ‘ওটা একটা ছোট্ট দেখা করা মাত্র। জাঁকজমকপূর্ণ কোনও ইভেন্ট নয়।মন ভারাক্রান্ত। কোনওরকম সেলিব্রেশন হয়নি। আমরা সবাই রাজীবকে খুব মিস করছি। আর আচমকা চলে যাওয়াটা কেউ মেনে নিতে পারছে না’।

গত বছর জানুয়ারি মাসে মৃত্যু হয় ঋতু নন্দা, এপ্রিলে চলে যান ঋষি কাপুর আর নতুন বছরের শুরুতেই আচমকা চলে গেলেন রাজীব। সব মিলিয়ে গত একবছরে বিরাট ক্ষতি হয়ে গিয়েছে কাপুর পরিবারের, আস্তে আস্তে মাথার উপর থেকে ছাদ সরে যাচ্ছে কাপুর পরিবারের এই প্রজন্মের। রাজীবের মৃত্যুর পর বাড়িতে একদম একা রণধীর। ১৯৮৮ সালে বিচ্ছেদের পর স্ত্রী ববিতার থেকে আলাদা থাকেন রণধীর। ডিভোর্স নেননি দুজনেই, তবে একসঙ্গে থাকেন না গত ৩৩ বছর। জন্মদিনের মুহূর্তটা রণধীর একা থাকুক চায়নি পরিবার, সেই কারণেই ছিল ওই জমায়েত। কোনওরকম আনন্দ, উদযাপনের জন্য মানসিকভাবে কেউ প্রস্তুত নয়, জানিয়েছে কাপুর পরিবারের ঘনিষ্ঠরা।