গত মঙ্গলবার ১০ই অগস্ট ৩০শে পা দিলেন বনি সেনগুপ্ত। সেদিন দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা, জমিয়ে ভাজা-ভুজি, কব্জি ডুবিয়ে বাড়িতে খাবার খাওয়ার মতো বেনিয়মে গা ভাসালেও জন্মদিনে আর পাঁচজন মানুষের 'বার্থডে রেজোলিউশন' নিতে মোটেই ভোলেননি এই টলি-অভিনেতা। মা পিয়া সেনগুপ্তের হাতে রান্না করা পোলাও, ডাব চিংড়ি, মাটন কষা, পায়েস দিয়ে দুপুরের খাওয়া সেরে জানিয়েছেন সে কথা। কোনও ভণিতা না ছাড়াই 'বরবাদ' এর নায়কের কথায় জানা গেল রাজনীতিকে আপাতত কিছু দিন দূরে সরিয়ে স্রেফ অভিনয়ে মন দিতে চান তিনি।
আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বনির বলেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল আগেও ডেকেছিল। এখনও ডাকছে। তবে সেসব ভুলে আমি এখন শুধুই অভিনয়ে মন দিতে চাই।' বাবুল সুপ্রিয়, অনিন্দ্যর মতো জনপ্রিয় মুখ যখন একে এক বিজেপি ছাড়ছেন তিনিও কি সেই পথেই হাঁটবেন? এ প্রশ্নের জবাব না দিলেও বনি ফের জানিয়েছেন তাঁর হাতে এইমুহূর্তে ‘জতুগৃহ’, ‘ছুটি’, ‘ধাঁধাঁ’-র মতো পরপর ছবি। তাই সেসব নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চান তিনি।
এরপর প্রসঙ্গ পাল্টে জন্মদিনের উপহারের বিষয়ে কথা উঠলে মজার সুরে টলি-নায়ক জানিয়েছেন এখন আর তিনি বাবার কাছে 'গিফট' এর আবদার করেন না। উল্টে তাঁর বাবা অর্থাৎ বর্ষীয়ান পরিচালক অনুপ সেনগুপ্তই নাকি ইদানিং তাঁর কাছে বায়না করছেন। বললেন,' গত ৮ অগস্ট বাবার জন্মদিন ছিল। সেই সময়ে শুটিংয়ের সুবাদে বাইরে ছিলাম। সেই জায়গা থেকেই একজোড়া সাদা জুতো কিনেছিলাম। তা সেই জুতো দেখে বাবারও ভারি পছন্দ। তারপরেই তাঁর আবদার, ‘আমায় এক জোড়া আনিয়ে দিবি?’
ছেলের জন্মদিনে নিজের ইচ্ছের কথাও গোপন করেননি বাবা। বর্ষীয়ান পরিচালকের কথায়, 'ছোট থেকে ছেলের আবদার মিটিয়েছি। যখন যা চেয়েছে পূরণের চেষ্টা করেছি। এ বার নাতি-পুতির কথা ভাবছি!' সেই ভাবনা থেকেই বাড়ির শো-কেস ভর্তি করে ছোটদের খেলনা সাজিয়েছেন 'বার্থডে বয়'-এর বাবা। যদিও বাবার 'নাতি পুতি'-র ইচ্ছে নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি বনি এবং তাঁর ‘হবু বৌ’ কৌশানি মুখোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলে করোনা বিধি মেনেই মাত্র কয়েকজনের উপস্থিতিতে ফ্যান ক্লাবে নিজের জন্মদিন সেলিব্রেশন করেছেন বনি। কিছুদিন আগেই কৌশানিকে নিয়ে গোয়া থেকে ছুটি কাটিয়ে শহরে পা রেখেছেন তিনি।