গত দু-দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়। চুপিসাড়ে বিয়ে সেরেছেন বাংলার জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটার প্রেরণা দাস! প্রেরণার বিয়ের ছবি ফাঁস হয় সমাজমাধ্যমে। পরে নিজেও এই নেটমাধ্যম প্রভাবী সেই ছবি শেয়ার করেন। লাল বেনারসিতে সীমান্তিনী প্রেরণা! পাশে তাঁর মনের মানুষ সৈকত, ছবি দেখে সবার প্রশ্ন, বিয়েটা কি সত্যি হয়ে গেল? নাকি নতুন কোনও ভিডিয়োর জন্য সাত পাক ঘুরলেন দুজনে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছার বন্যা, সঙ্গে হাজারো প্রশ্ন! এই বিয়ে আসল না নকল? উত্তরের খোঁজে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা যোগাযোগ করেছিল প্রেরণার সঙ্গে। প্রশ্ন শুনেই একগাল হাসি। বললেন, ‘সবাই যে কনফিউসড সেটা ভালো ব্যাপার। লোকজন আমাদের জুটিটা ভালোবাসে। এটা শ্যুট না রিয়েল লাইফে হয়েছে বিয়েটা করেছি সেটা ক্রমশ প্রকাশ্য। নিজেরাও বুঝতে পারিনি, এটা এতটা ভাইরাল হবে।’
শুরুতে যতই চেপে রাখার চেষ্টা করুন। সত্যিটা বলেই দিলেন প্রেরণা। কীসের শ্যুট তা স্পষ্ট না করলেও নিজের রিলেশনশিপ স্টেটাস গোপন রাখলেন না। বাড়িতে গত দু-দিন ধরে লাগাতার ফোন এসেছে আত্মীয়-স্বজন আর বন্ধুদের। সবার প্রশ্ন, ‘না বলে বিয়েটা করে নিলি, কেন?’। প্রেরণা স্পষ্ট বললেন, ‘আমি প্রচণ্ড পরিমাণে সিঙ্গেল। এটা লোকজনকে জানাতে হবে। আর আমার প্রত্যেকটা ছেলে-বন্ধুকে আমার প্রেমিক বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমার বাবা আমাকে সেদিন আমাকে একটা ছবি পাঠিয়েছে, সেখানে তিনজন ছেলের সঙ্গে আমার ছবি। সবাই বলছে, আমি তো জানতাম এটা প্রেরণার বয়ফ্রেন্ড। মানে আমি যার সঙ্গেই ভিডিয়ো বানাব, সেই নাকি আমার বয়ফ্রেন্ড। তবে সৌভাগ্যবশত আমার বাবা-মা সবটা জানেন’।
আরও পড়ুন-জি বাংলার জনপ্রিয় নায়িকা এই খুদে! প্রেম নিয়েও জোর চর্চায়, চিনতে পারছেন বাচ্চাটিকে?
ভাইরাল বিয়ের ছবি দেখে বাবার কী প্রতিক্রিয়া? মুচকি হেসে বলেলন, ‘বাবা বলছে, যাক আমার খরচাটা বেঁচে গেল। কিছু মানুষ বুঝতে পারছে, কারণ নর্ম্যাল বিয়ের অনেককিছুই নেই। আবার অনেকে বলেছে এটা কনটেন্টের জন্য হলেও আমাদের জুটিটা ভালো লাগছে। আগে ব্রাইডাল শ্যুট করলেও, এইরকম শ্যুট করিনি’।
কী বলব! মুকুল নিজেই ধোকা দেওয়ার পোস্ট শেয়ার করে আমাকে বলছে- এটা তুই কী করলি? আমি একটা সময় ওর সঙ্গেই কনটেন্ট বানাতাম। তারপর আমি শিফট করি। আমার ভিডিয়োর জঁর বদলেছে। রিসেন্টলি সৈকতের সঙ্গে বেশি ভিডিয়ো বানাই। সেইসব দেখেই লোকে ধন্দে পড়েছে। আমি কাউকে রিপ্লাই করিনি। এতক্ষণ কাউকে জানাচ্ছি না, শুধু হাসি পাচ্ছে'।