হিন্দু দেবদেবীর বিরুদ্ধে ‘অশালীন’ মন্তব্যের অভিযোগে গুজরাতের এক স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী ইন্দোরের এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, মুনাওয়ার ফারুকি নামে ওই কমেডিয়ান যে কোনও কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন, সেরকম কোনও ভিডিয়ো বা প্রমাণ মেলেনি।
টুকাগঞ্জ থানার ইনস্পেক্টর কমলেশ শর্মা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘মুনাওয়ারের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও প্রমাণ মেলেনি। হিন্দু দেব-দেবীকে কিংবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অপমান করেছেন, এমন কিছু পাওয়া যায়নি’।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অ্যাগনেজ নামে এক মহিলা নিজের ইনস্টাগ্রামে সেদিনের ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, যখনই মুনাবরের দিকে স্পটলাইট গিয়ে পড়ে, দর্শকাসনে বসা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কেউ একজন স্টেজের দিকে হাটতে শুরু করে। কেউ একজন (হয়ত উদ্যোক্তাদের কাউকে) জোরে বলে ওঠেন ‘চুপচাপ ওখানে গিয়ে বসে পড়।’ ‘রাজনীতির যোগ থাকা ওই ব্যক্তি’ মাইক হাতে নিয়ে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে এবং হাতে মাইক হাতে নিয়ে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন।
অ্যাগনেজ এমনকী জানিয়েছেন মুনাওয়ার কিছু বলার আগেই সেই ব্যক্তি স্টেজে উঠে কথা বলা শুরু করেন। তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিন্তু বাস্তবে, তিনি (মুনাওয়ার) মোটেই কোনও অবমাননাকর মন্তব্য করেননি, তাঁর রসিকতা হিন্দু বিশ্বাস বা ইসলামকে নিয়ে রসিকতা করেনি। মুনাবর অত্যন্ত বিনয়ের সাথে মৃদু স্বরে স্পষ্ট করে বলেছিলেন, যে কাউকে আঘাত করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না তাঁর এবং তাঁদের শো দেখার আমন্ত্রণ জানান। পরিস্থিতিকে ভালো করেই সামাল দিয়েছিলেন মুনাওয়ার। এরপরই দর্শকরা ছত্রভঙ্গ হয়। কিছু মানুষ বেরিয়ে যায়।' অ্যাগনেজ দাবি করেন, মাত্র চার-পাঁচ মিনিট পারফর্ম করেছিলেন মুনাওয়ার। দিল্লিতে বন্ধুর বিয়েতে খেতে যাওয়া নিয়ে কথা বলেন।
বিজেপি নেত্রী মালিনী গৌরের ছেলে তথা হিন্দু রক্ষক সংগঠনের আহ্বায়ক একলব্য গৌর ওই কমেডিয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। মুনাওয়ার ছাড়াও আরও চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে।