Mahiya Mahi: ‘আমি নাকি ২৫ লিটার পানি দিয়ে গোসল করেছি, প্রযোজক কি সেটা বাসায় পাঠাতেন?': মাহি

Mahiya Mahi's worst experience of film career: ‘আর্শীবাদ’ ছবির প্রযোজকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মাহিয়া মাহি। সরকারি অনুদান হিসাবে প্রাপ্ত টাকায় শপিং করেছেন প্রযোজক, অভিযোগ নায়িকার।

মাহিয়া মাহি

প্রযোজক জেনিফার ফেরদৌসের সঙ্গে অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির ঝামেলা থামবার নাম নিচ্ছে না। প্রযোজকের বিরুদ্ধে এবার একরাশ বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী। শুধু মাহিই নন, প্রযোজকের আচরণে বিরক্ত অভিনেতা রোশানও। জেনিফার ফেরদৌসের প্রযোজনায় ‘আশীবার্দ’ ছবিতে অভিনয় করেছেন মাহি ও রোশান। তবে গত সপ্তাহেই মাহির বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে ক্ষোভ উগড়ে দেন প্রযোজক। 

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে ঢালিউডের নতুন প্রযোজকের নামে সরকারি অনুদান হিসাবে প্রাপ্ত টাকা ‘নয় ছয়’-এর অভিযোগ আনলেন মাহি। ৬০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘আর্শীবাদ’ ছবিটি। 

মাহি পরিষ্কার করে জানান, জেনিফার ফেরদৌস কোনো পেশাদার প্রযোজক নন। যেহেতু এটা সরকার ও জনগণের টাকার সিনেমা তাই জেনিফার ফেরদৌস এখানে লাইন প্রডিউসার। তাঁকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল উনি বরং সেখান থেকে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। 

সাংবাদিক বৈঠকে মাহি জানান, ‘মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ছবি এবং সরকারি অনুদানের ছবি বলেই ‘আশীর্বাদ’ করতে রাজি হয়েছিলাম। আরেকটি কারণ হচ্ছে এই ছবির পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। তার সঙ্গে আমার এতো ভালো বোঝাপড়া যে ১০ লাখের জায়গায় ৫ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছি। আমি কিন্তু শুরু থেকে বলে আসছি জেনিফারকে দেখে আমি সিনেমাটি করিনি। কিন্তু জেনিফার শ্যুটিং এমন অপেশাদার আচরণ করবেন ভুলেও ভাবিনি। এতে করে আমি ঠকেছি। আমার সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। ছবি করতে গিয়ে যে তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি গত ১০ বছরের কেরিয়ারে কোনও প্রযোজকের সঙ্গে এমন বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি।’

মাহিয়া মাহি জানান, তিনি কাউকে ছোট করে কথা বলছেন না। বাধ্য হয়েই আজ সত্যিটা সামনে আনছেন। মাহির কথায়, ‘খুব স্বপ্ন নিয়ে অনুদানের সিনেমাটি করতে চেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম কোনোভাবে যদি প্রধানমন্ত্রী কাজটি দেখেন! ৬০ লাখ টাকায় অনেক ভালো সিনেমা বানানো সম্ভব। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি, সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকার মতো খরচ করেছেন প্রযোজক। বাকি টাকা প্রযোজক কোথায় খরচ করেছে সরকারের খতিয়ে দেখা উচিত। তার জবাবদিহি করা উচিত। এই টাকা ওনার নয়। সরকারি অনুদান দেওয়া হয় জনগণের ট্যাক্স থেকে।’

মাহির অভিযোগ সরকারি অনুদানের টাকায় প্রযোজক জেনিফার ফেরদৌস ‘শপিং’ করেছেন কিনা খতিয়ে দেখা দরকার। মাহি আরও বলেন, ‘আমি নাকি ২৫ লিটার পানি (জল) দিয়ে গোসল (স্নান) করেছি। ওনার শুটিংয়ে আউটডোরেই তো যাইনি, উনি পানি কি বাসায় (বাড়িতে) পাঠিয়েছিলেন?’

এই বিতর্কের শেষ কোথায়? এখন সেটাই দেখার!