বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > নোরা হিংসে করে জ্যাকলিনকে, মরক্কোতে বাড়ি কিনতে টাকাও নিয়েছে: সুকেশ চন্দ্রশেখর

নোরা হিংসে করে জ্যাকলিনকে, মরক্কোতে বাড়ি কিনতে টাকাও নিয়েছে: সুকেশ চন্দ্রশেখর

নোরাকে নিয়ে বিবৃতি সুকেশ চন্দ্রশেখরের। 

নোরা দাবি করেছিলেন সুকেশ তাঁকে প্রেমিকা হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন যার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাড়ি কিনে দেওয়ার। এই পরিপ্রেক্ষিতে সুকেশ দাবি করলেন বাড়ি কেনার টাকা তাঁর কাছ থেকে চেয়ে নিয়েছেন নোরা ইতিমধ্যেই। 

দিনকয়েক আগেই নোরা ফতেহি দাবি করেছিলেন সুকেশ তরফে তাঁর কাছে এসেছিল ‘প্রেমিকা’ হওয়ার প্রস্তাব। আর তাঁর বদলে বড় বাড়ি আর বিলাসবহুল জীবনযাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সুকেশ। প্রসঙ্গত, ২০০ কোটির আর্থিক প্রতারনার মামলায় জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে নোরা ফতেহির। ইডি-র তরফে নোরার বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। নোরার তরফে আসা বিস্ফোরক দাবির পর নতুন বিবৃতি এল সুকেশ চন্দ্রশেখরের তরফ থেকে। যেখানে লেখা রয়েছে, তিনি মরক্কোতে একটি বাড়ি কেনার জন্য ইতিমধ্যেই নোরাকে অর্থ দিয়েছেন।

নোরার তরফে বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছিল, সুকেশ তাঁকে দিয়েছিলেন 'একটি বড় বাড়ি এবং একটি বিলাসবহুল জীবনযাপনের' প্রতিশ্রুতি যদি তিনি বান্ধবী হতে রাজি হন। নোরা-র দাবি ছিল সুকেশের তরফে তাঁর কাছে সেই দাবি পৌঁছে দিয়েছিলেন পিঙ্কি ইরানি। 

সম্প্রতি এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে একটি বিবৃতি জারি করলেন সুকেশ। যেখানে লেখা রয়েছে, ‘আজ সে (নোরা) বলছে আমি তাঁকে একটি বাড়ি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। কিন্তু ইতিমধ্যেই মরক্কোর কাসাব্লাঙ্কায় পরিবারের জন্য একটি বাড়ি কিনতে সে আমার কাছ থেকে অনেক টাকা নিয়েছে। এখন আইনের হাত থেকে বাঁচতে এইসব মিথ্যে গল্প বানাচ্ছে।’

তাতে আরও বলা হয়েছে, ‘নোরা দাবি করছেন যে, তিনি আমার কাছে কোনও গাড়ি চাননি, বা তিনি নিজের জন্য কোনও গাড়ি নেননি। এটি খুব বড় একটা মিথ্যা। কারণ সে আমার পিছনে পরে ছিল নিজের গাড়িটা বদলে নেওয়ার জন্য। যেহেতু নোরার 'CLA' গাড়িটা পুরনো হয়ে গিয়েছিল তাই আমি ওে গাড়ি কিনে দিতে বাধ্য হয়েছিলাম। ও যেই গাড়ি বেছে দিয়েছিল সেটাই আমি দিয়েছিলাম। সমস্ত স্ক্রিনশটই ইডি-র কাছে আছে। এতে কোনও মিথ্যে নেই। আসলে আমি দিতে চেয়েছিলাম তাঁকে রেঞ্জ রোভার। কিন্তু গাড়িটি স্টকে ছিল না, আর নোরা নতুন গাড়ির জন্য পাগল হয়ে যাচ্ছিল। তারপর আমি তাঁকে BMW S সিরিজ দিয়েছিলাম, যেটি সে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করেছিলেন। যেহেতু তিনি একজন অ-ভারতীয়, গাড়িটার নিবন্ধন করেছিল তাঁর সবচেয়ে ভালো বন্ধুর স্বামী ববির নামে। আমার ও নোরার মধ্যে কখনোই পেশাদারি লেনদেন ছিল না। তিনি আমার ফাউন্ডেশনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন, সেই টাকা ওঁর কোম্পানির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’

সুকেশ আরও দাবি করেন, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের সঙ্গে তিনি ছিলেন ‘সিরিয়াস রিলেশন’-এ। সঙ্গে আরও বলেন, নোরা আসলে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে হিংসে করত। আপাতত নোরা আর ‘সার্কাস’ নায়িকার মধ্যে চলছে আইনি মামলা। নোরার তরফে জ্যাকলিনের ওপরে দায়ের করা হয়েছে মানহানির মামলা। 

আপাতত সোমবার পাতিয়ালা হাউস কোর্টের তরফ থেকে আর্থিক জরিমানার মামলায় জ্যাকলিনকে ব্যক্তিগত উপস্থিতি ছেকে অব্যাহতির দেওয়া হয়েছে।

 

 

বন্ধ করুন