শুধুমাত্র মানেই ‘শ্যুট ফ্রম হোম’, আসলে সকলের চোখে ধুলো দিয়ে ভাড়া বাড়ি, হোটেল কিংবা গুদামেও বাংলা সিরিয়ালের শ্যুটিং চলছে। শুধু স্টুডিওপাড়ার দরজা বন্ধ থাকায়, সেখানে শ্যুটিং চলছে না। এমনটাই অভিযোগ ফেডারেশনের, এই নিয়ে ১৫ পাতার বিবৃতি প্রকাশ্যে এনেছে ফেডারেশন কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, গোটা বিষয় তদন্ত করে দেখতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে সংগঠন।
শুধু অভিযোগ এনেই ক্ষান্ত থাকেননি ফেডারেশন, বক্তব্যের স্বপক্ষে বেশ কিছু ভিডিয়ো প্রমাণও প্রকাশ্যে এনেছে তাঁরা। কোন কোন ধারাবাহিকের মামলায় শ্যুট ফ্রম হোম-এর বিষয়টিও মানা হচ্ছে না? তালিকায় রয়েছে ‘মিঠাই’, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’, ‘খেলাঘর’-এর মতো সিরিয়ালের নাম।
ফেডারেশনের দাবি, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিকের নাকি সম্প্রতি শ্যুটিং হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার এনএসসি বোস রোডে অবস্থিত একটি গুদাম ঘরে। একাধিক অভিনেতা নিয়ে শ্যুটিং চলছে, যা করোনাবিধি লঙ্ঘন, এমনকি ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শ্যুটিংও করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে- অতিমারির শৃঙ্খল ভাঙতেই জরুরি পরিষেবা ছাড়া অন্য কাজ কিছু দিনের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আওতায় টেলিপাড়াও পড়ে। কিন্তু পরিচালক, প্রযোজকেরা সে কথা মানছেন কই? সংগঠনের তাই প্রশ্ন, ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে যদি অভিনেতারা আক্রান্ত হন তার দায় কে নেবে?' প্রেস বিবৃতিতে সাফ লেখা রয়েছে- ‘ কোনটা বেশি প্রয়োজন জীবন না বিনোদন?’
এখনও পর্যন্ত ‘খড়কুটো’, ‘ফেলনা’-র মতো হাতে গোনা এপিসোডেরই ব্যাঙ্কিং এপিসোড টেলিকাস্ট করা হচ্ছে।
পাশাপাশি এইভাবে বাড়ি থেকে কিংবা যেখানে সেখানে শ্যুটিং করে কাজের মান পড়ে য়াচ্ছে বলেও অভিযোগ ফেডারেশনের। তাঁদের কথায়, ‘কলাকুশলীরা এই শিল্প জগতের প্রাণভোমরা। তাঁদের কুশলতা ও পরিশ্রমের ছোঁয়া না পেলে কোনও কাজই সর্বাঙ্গসুন্দর হতে পারে না। কলাকুশলীদের অন্ধকারে রেখে ধারাবাহিকের কাজ চালাতে গিয়ে তাই কতিপয় প্রযোজক ও পরিচালক বিভিন্ন ধারাবাহিকের মান নামিয়ে ফেলছেন। দর্শকরাও তাতে অত্যন্ত রুষ্ট হচ্ছেন। এই ভাবে ওইসব প্রযোজক ও পরিচালকরা এই শিল্পের ভবিষ্যতকেও বিপদের মুখে ফেলছেন, পাশাপাশি বিপদের মুখে ফেলছেন কলাকুশলীদের ন্যায্য অধিকার ও তাঁদের আত্মমর্যাদাকে'।