রশ্মিরেখা ওঝার ‘আত্মহত্যা’র ধাক্কা সামলে উঠবার আগেই ফের চাঞ্চল্য ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। জনপ্রিয় অভিনেতা তথা যাত্রা শিল্পী রাইমোহন পারিদার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে শুক্রবার সকালে।
ভুবনেশ্বরের প্রাচী বিহারে নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় এই অভিনেতার দেহ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, খুব সম্ভবত আত্মহত্যাই করেছেন রাইমোহন পারিদা। কী কারণে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার মতো চরম সিদ্ধান্ত নিলেন অভিনেতা সেই ব্যাপারে এখনও কিছুই জানা যায়নি। অভিনেতার ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ। অভিনেতা রেখে গেলেন দুই মেয়ে এবং স্ত্রীকে।
১০০-টির বেশি ওড়িয়া ছবিতে অভিনয় করেছেন রাইমোহন পারিদা। শুধু ওড়িয়াই নয়, বেশ কিছু বাংলা ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। ক্যানসার আক্রান্ত ওড়িয়া তারকা হারা পাটনায়েকের মৃত্যু হয় ২০১৫ সালে, এরপর থেকে গোটা ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে চর্চিত ভিলেন ছিলেন রাইমোহন।
কেওনঝড় জেলায় জন্ম রাইমোহনের, ১৯৮৬ সালে অভিনয় জগতে প্রবেশ তাঁর। ‘পাকা কম্বল পট ছাট্টা’ ছবির সঙ্গে অভিনয়ে হাতেখড়ি রাইমোহনের। যদিও প্রথম সাফল্য আসে ‘সাগর’-এর হাত ধরে। ১৯৯১ সালে ‘ভাঙা আইনা’র সঙ্গে ওড়িয়া যাত্রাপালার জগতে পা রাখেন তিনি।
রাইমোহমের আকস্মিক মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েই চাঞ্চল্য ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিনেতা সিদ্ধান্ত মহাপাত্র জানান, ‘উনি অত্যন্ত সফল, টাকা-পয়সার সমস্যা থাকতে পারে না। উপযুক্ত তদন্তের প্রয়োজন’। গত সপ্তাহেই রাইমোহন ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছিল অভিনেতা সিদ্ধান্ত মহাপাত্রের। তিনি বলেন, কোনওভাবেই রাইমোহনকে অবসাদগ্রস্ত দেখায়নি।
‘সিঙ্গা বাহিনি’, ‘সুনা ভাউজা’, ‘মেন্টাল’-এর মতো ছবির জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছেন রাইমোহন।