বিতর্ক সবসময় সঙ্গে আছে, তবে তা নিয়ে কুছ পরোয়া নেই ‘যশরত’-এর। সদ্য মা-কে হারিয়েছেন যশ, কঠিন সময়ে ‘স্বামী’র হাত শক্ত করে ধরে আছেন নুসরত। দুই ছেলেকে নিয়ে সুখী গৃহকোণ তারকা দম্পতির। রবিবার রাতে ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন যশ-নুসরত। সেখানে দাদার সঙ্গে মন খোলা আড্ডায় মাতলেন দুজনে।
যশ-নুসরতের ছেলের বয়স সবে ৯ মাস। একরত্তি ঈশানকে নিয়েই সদাব্যস্ত যশ-নুসরত। এদিন সৌরভ নুসরতের কাছে প্রশ্ন রাখেন ‘ছোট্ট’ ঈশানকে নিয়ে। নায়িকা বলেন, ‘ছোট্টটা এখন একটু বড় হয়ে গেছে’। মহারাজের পরবর্তী প্রশ্ন, মাদারহুড কেমন? ‘দুর্দান্ত, যেমনটা অন্য সবার মাতৃত্ব হয়। তবে একটু ক্লান্তিকর আর কী!’
এরপর সঞ্চালক আরও জানতে চান, ‘রাতে জাগিয়ে রাখে না রাখে না?’ চটজলদি নতুন মায়ের উত্তর, ‘না, না- যশ ওকে খুব ভালো করে স্লিপ ট্রেন করে দিয়েছে। যেখানে এখন গিয়ে আমাদের সুবিধা হয়, ও একটানা ৮ ঘন্টা ঘুমোতে পারে’।
যশ এরপর জানান, শুরুতে দু-ঘন্টা অন্তর ঘুম থেকে উঠে যেতে ঈশান। ফলে ছেলে ঘুমিয়ে নিলেও বাবা-মায়ের রাতের ঘুম উড়েছিল। এরপরই একটা উপায় বার করেন যশ। তিনি বলেন, ‘আমি ওকে বলেছিলাম আমি এটা করব, তুমি রাগ করো না। আমি ওকে রাত অবধি জাগিয়ে রাখতাম… আগে কী হত ও তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ত রাত তিনটের সময় উঠে পড়ত। এরপর ওকে আমি রাত অবধি জোর করে জাগিয়ে রাখতাম, যাতে আমরা যখন ঘুমোবো তখন ও ঘুমোয়’।
এরপর মাম্মি নুসরতের সংযোজন, এটা শুরুতে এক সপ্তাহ করবার পর রাত অবধি জেগে থাকায় অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে ঈশান। এখন তাঁর ঘুম নিয়ে আর কোনও জ্বালা নেই।