কয়েক মাসের বাধ্যধানে পালটে গিয়েছে নুসরত-নিখিলের সম্পর্কের সমীকরণ। গত বছর এই সময়তে এক ছাদের তলায় থাকেন দুজনে, তাও স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে। কিন্তু সেই বিয়েটা আদেও বিয়ে কিনা তা নিয়েই এখন প্রশ্নচিহ্ন উঠে গিয়েছে। নুসরত-নিখিল, পরস্পর পরস্পরের জীবনেই এখন ‘ক্লোজড চ্যাপ্টার’। নুসরতের সঙ্গে সব সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলতে আগেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ‘স্বামী’ নিখিল জৈন। তবে অতীতের সম্পর্ক নিয়ে তিক্ততা বোধহয় মনের ভিতর পুষে রাখতে চান না তিনি।
নুসরত নিজের সন্তানের পিতৃপরিচয় প্রকাশ্যে আনেননি, নিখিল আগেই এই সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার করেছিলেন। অন্তঃসত্ত্বা নুসরতকে সারাক্ষণ আগলে রেখেছিলেন তাঁর বর্তমান সহবাস সঙ্গী যশ দাশগুপ্ত, তবে তিনি এই সন্তানের বাবা কিনা, তা স্পষ্টভাবে জানাননি যশরত। বির্তকের লম্বা সফর পার করে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ছেলের মা হয়েছেন নিখিল জৈনের প্রাক্তন পার্টনার। নুসরত ও তাঁর সদ্যজাত সন্তানের জন্য শুভেচ্ছা জানাতে ভুললেন না নিখিল, তবে ব্যক্তিগতভাবে নুসরতকে কোনওরকম শুভেচ্ছা জানাতে চান না তিনি। এক সাক্ষাত্কারে নিখিল বলেন, ‘নুসরতকে আমি এ নিয়ে আলাদা করে ফোন বা যোগাযোগ করতে চাই না। যেহেতু ওর সঙ্গে আমার আর কোনও সম্পর্ক নেই। তবে কামনা করি, সুস্থ থাকুক ছেলে, সুন্দর করে বড় হয়ে ওঠুক। অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি’।
গত বছর নভেম্বর থেকে এক ছাদের তলায় থাকেন না নিখিল-নুসরত। নিখিলের দায়ের করা দেওয়ানি মামলায় গত ১৮ অগস্ট শুনানির তারিখ নির্দিষ্ট ছিল, কিন্তু অভিনেত্রী নুসরত জাহান এদিন আইনজীবী বদল করেন। সেই কারণেই পিছিয়ে যায় শুনানির তারিখ। এদিন কোর্টে মামলা না ওঠায় আদালতের তরফে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর শুনানির নতুন তারিখ দেওয়া হয়েছে। নতুন মা প্রাক্তনের সঙ্গে আইনি জট কীভাবে কাটাবেন সেটাই দেখবার। অন্যদিকে নুসরত মা হওয়ার পর সাংবাদমাধ্যমের সামনে দু-লাইনের বিবৃতি দেন যশ। তিনি জানান, ‘যাঁরা জানতে চাইলছেন নুসরতের স্বাস্থ্য সম্পর্কে তাঁদের বলে রাখি মা ও ছেলে দুজনেই একদম সুস্থ রয়েছে, খুব ভালো আছে’।