দেখতে দেখতে এক বছর পূর্ণ করল নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan) রাজপুত্র। ২০২১ সালের ২৬শে অগস্ট জন্ম হয় ঈশানের (Yishaan J Dasgupta)। শহর কলকাতার সবচেয়ে নামী ওম্যান অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার স্পেশ্যাল হাসপাতালে জন্ম ঈশানের। সন্তানের জন্ম দেওয়ার সময় সারাক্ষণ নুসরতকে আগলে ছিলেন লিভইন পার্টনার যশ (Yash Dagupta)। তবে তখনও নুসরতের সন্তানের পিতৃ পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। এরপর একে একে সবটা সামনে আসে।
নুসরত ইঙ্গিতে সাফ জানিয়েছিলেন তাঁর সন্তানের বাবা যশ দাশগুপ্ত। পরে ঈশানের বার্থ সার্টিফিকেটেও বাবার নামের জায়গায় স্পষ্ট লেখা ছিল দেবাশিস (যশ) দাশগুপ্ত। এখনও পর্যন্ত সেভাবে ছেলেকে প্রকাশ্যে আনেননি নুসরত। ঈশানের প্রথম জন্মদিনটাও একদম একান্তে সেলিব্রেট করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় মারাত্মক অ্যাক্টিভ নুসরত নিজের সন্তানকে বরাবর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরেই রেখেছেন। এদিনও তেমনটাই ঘটছে। অন্যদিকে যশ, ছোট ছেলের প্রথম জন্মদিনটা কি ভিন শহরে কাটাচ্ছেন তিনি? অভিনেতার ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, একদম নয়। ছেলের জন্মদিনের কথা মাথায় রেখেই নিজের ডেবিউ বলিউড প্রোজেক্টের দ্বিতীয় শেডিউল প্ল্যান করেছিলেন যশ। শুক্রবার সন্ধ্যাতেই টি-সিরিজের ছবির শ্যুটিং দ্বিতীয়ভাগের শ্যুটিং সেরে কলকাতায় ফিরেছেন অভিনেতা। আরও পড়ুন- হাতে ওয়াইনের গ্লাস, বিশেষ দিনে প্রেমে ভরপুর লাঞ্চ ডেটের ছবি দিলেন যশ-নুসরত
কেবলমাত্র পরিবারের হাতেগোনা মানুষই এদিন থাকছেন যশ-নুসরত আর ঈশানের পাশে। ইন্ডাস্ট্রির কোনও কাছের মানুষই ডাক পাননি ঈশানের বার্থ ডে সেলিব্রেশনে। আসলে ছেলেকে নিয়ে ভীষণ প্রোটেক্টিভ নুসরত-যশ। সূত্রের খবর, চট করে আজকাল কাউকেই বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান না দম্পতি।
ছেলের বার্থ ডে সেলিব্রেশনের প্ল্যানিং সম্পর্কে দিন কয়েক আগে এক সংবাদমাধ্যমে নুসরত জানান, ‘ওটা একদম পারিবারিক একটা অনুষ্ঠান হবে। শুধু পরিবার আর কাছের বন্ধুরা থাকবেন। এই বয়সে ও তো বুঝবে না এই সেলিব্রেশনটার অর্থ। তাই সেই মুহূর্তগুলো আমরা সুন্দর করে লেন্সবন্দি করে রাখব। যাতে বড় হয়ে ও সবটা বুঝতে পারে'। আরও পড়ুন-কেন ঈশানকে সোশ্যাল মিডিয়ার আড়ালে রাখেন, প্রথম জন্মদিনের প্ল্যান কী? অকপট নুসরত
ঈশানকে লোকচক্ষুর আড়ালে বড় করছেন যশরত। কেন এমন সিদ্ধান্ত? নুসরত জানিয়েছেন, ‘বাবা-মা হিসাবে এটা আমাদের সিদ্ধান্ত। যশের বড় ছেলেকেও মিডিয়া থেকে দূরেই রাখা হয়। আমরা চাই ওরা নিজেদের মতো করে বড় হোক, কোনওরকম ট্যাগ ছাড়া বা স্পেশ্যাল অ্যাটেনশন ছাড়া জীবনটা গড়ে তুলুক’।