৮০-৯০ দশকের ছেলে মেয়ে মানেই মে মাসে সেশন ব্রেক কাটিয়ে ২ মে প্রথম স্কুলে যাওয়া। নতুন ক্লাস। নতুন বন্ধু। আর কদিন পেরোতে না পেরোতেই বাজত গরমের ছুটি ঘণ্টা। তবুও তারই মাঝে মা বাবার থেকে বায়না করে যে খুচরো পয়সা পাওয়া যেত সেগুলো দিয়ে টিফিনের সময় বা ছুটির পরে স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা আলুকাবলি, ফুচকা, আচার, কারেন্ট নুন খাওয়া ছিল মাস্ট! তবে এখনকার গরমে ভরদুপুর বেলায় বাইরে বেরোনো তাও বিনা কাজে মানে স্বইচ্ছায় ছ্যাঁকা খাওয়ার সমান! তবে আম আদমির যা অবস্থাই হোক না কেন, অভিনেত্রী তথা সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) কিন্তু এদিন একদম অন্য মেজাজে ধরা দিলেন। ফিরে গেলেন নিজের ছেলেবেলার দিনগুলোয়।
পথের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা আচার বিক্রেতার থেকে আচার কিনে খেলে অভিনেত্রী। রাস্তায় এমন কিছু দেখলে সবসময় নিজেকে সামলানো যায় নাকি! অসম্ভব! তাই তো তিনিও ছুটে গেলেন। বানিয়ে ফেললেন গোটা ঘটনার ভিডিয়ো। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অভিনেত্রী লিখলেন, 'ছেলেবেলার দিনগুলোতে ফিরে গেলাম। গরমের দুপুরের কথা মনে পড়ছে যখন আলুকাবলি, তেঁতুলের আচার আর দাদুর ভালোবাসা পাওয়া যেত। এটার থেকে ভালো আর কীই বা হতে পারে। সহজ, সাদামাটা জিনিসই জীবনে সব থেকে বেশি আনন্দ বয়ে আনে। আমার জীবন ধন্য হল।'
অভিনেত্রীর এই পোস্টে আবেগে ভাসলেন তাঁর প্রিয় সখি মিমি চক্রবর্তী। তিনি তাঁর এই পোস্টে কমেন্ট করেন, 'সত্যিই ছোটবেলায় ফিরে গেলাম।' কৌশানি মুখোপাধ্যায় লেখেন, 'এখন আমার এই আচারের প্রয়োজন।' দর্শনা বণিকও এই পোস্টে লোভের ইমোজি কমেন্ট করেন। উষসী সেনগুপ্ত লেখেন, 'জিভে জল।'
প্রসঙ্গত, মিমি এখন রক্তবীজের ডাবিং করছেন। সদ্যই এই ছবির শ্যুটিং শেষ হয়েছে। অন্যদিকে নুসরত তাঁর শিকার ছবিটির কাজে ব্যস্ত। এই ছবিতে তাঁর সঙ্গে যশ দাশগুপ্ত এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে দেখা যাবে।