ভোটের ময়দানে শোচনীয় হারের মুখে পড়েছেন বিজেপির তারকা প্রার্থীরা। দলকে জয় এনে দিয়ে পারেননি, বিজেপির একজন নায়িকা প্রার্থীও। শ্রাবন্তী, পায়েল, পার্নো, তনুশ্রী সকলেই হেরো। হিরোদের ক্ষেত্রেও যে ছবিটা পুরোপুরি আলাদা তা নয়, যশ দাশগুপ্তের মতো জনপ্রিয় তারকাও পারজিত হয়েছেন। হিরণ ডাহা নির্বাচনী পরীক্ষায় ডাহা ফেল বিজেপির সকল অভিনেতা প্রার্থীই। এই নিয়েই খোদ বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের কটাক্ষের মুখে পড়লেন শ্রাবন্তী-পায়েলরা। এদিন ফের বিজেপির 'হেরে ভূত' তারকা পায়েল, শ্রাবন্তী, তনুশ্রীদের নাম নিয়ে তথাগত তাঁদের ‘নগরীর নটী’ বলে কটাক্ষ করেন। দাবি তাঁরা নাকি ‘টাকা নিয়ে কেলি করে বেড়িয়েছেন’।
হারের পর এমনিতেই সুর নরম করে সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতাকে ও তৃণমূল প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন শ্রাবন্তী-পায়েলরা। সংবাদমাধ্যমের মুখ খোলেননি কেউই, এই বিষয় নিয়েও তাঁদের কোনওরকম প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে তথাগতর কটাক্ষ নিয়ে মুখ খুলেছেন শ্রাবন্তী-পায়েলদের সহকর্মী তথা তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন,'আমি বরাবরই বলে এসেছি বিজেপি নারীর প্রধান শত্রু । এই দল কখনওই নারীকে সম্মান করতে পারেনি, পারবেও না। মেয়েদের ওরা এ ভাবেই দেখে'।
নারী-বিদ্বেষী হওয়ার অভিযোগ বারবার উঠেছে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে, শুধু তথাগত রায় নন, পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ রয়েছে। নুসরত বলেন, ‘ওঁরা মেয়েদের সম্মান করেন না বলেই যোগী আদিত্যনাথ পশ্চিমবঙ্গে অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াডের কথা বলতে পেরেছিলেন’। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের এই মন্তব্য ঘিরেও কম শোরগোল হয়নি। বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলায় অ্যান্টি রোমি স্কোয়াড গঠনের কথা প্রকাশ্য জনসভায় বলেছিলেন যোগী।
টুইটারে দেওয়ালে শুধু টলি নায়িকাদের নয়, দিলীপ ঘোষ, কৈলাশ বিজয়বর্গীদেরও একহাত নেন তথাগত। তিনি লেখেন-'পায়েল শ্রাবন্তী পার্নো ইত্যাদি ‘নগরীর নটীরা’ নির্বাচনের টাকা নিয়ে কেলি করে বেড়িয়েছেন আর মদন মিত্রর সঙ্গে নৌকাবিলাসে গিয়ে সেলফি তুলেছেন (এবং হেরে ভূত হয়েছেন) তাঁদেরকে টিকিট দিয়েছিল কে ? কেনই বা দিয়েছিল? দিলীপ-কৈলাশ-শিবপ্রকাশ-অরবিন্দ প্রভুরা একটু আলোকপাত করবেন কি?'
টুইটে ভোট চলাকালীন, দোলের দিন মদন মিত্রর সঙ্গে একই মঞ্চে পায়েল, শ্রাবন্তী, তনুশ্রীদের উপস্থিতি ঘিরেও বিদ্রুপ করতে ছাড়েননি তথাগত।