অনেকেই ভেবেছিলেন আজ হয়ত আলিপুর আদালতে মুখোমুখি হবেন প্রাক্তন 'সহবাস সঙ্গী'র সঙ্গে মুখোমুখি হবেন নুসরত জাহান। যদিও সেই জল্পনায় আজ সকালেই জল ঢেলে দেন নিখিল জৈন। তিনি স্পষ্ট করে দেন, কর্মসূত্রে তিনি শহরের বাইরে। তাই আজ সশরীরে আদালতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। যদিও তাঁর প্রতিনিধি আদালতে উপস্থিত থাকবে জানিয়েছিলেন নিখিল। কিন্তু মঙ্গলবার শুনানিই হল না নিখিল-নুসরতের মামলার।
সূত্রে খবরর, করোনা আবহে প্রত্যেক দিন সব বিচারপতি আদালতে উপস্থিত হচ্ছেন না এবং এর জেরেই বেঞ্চ গঠন হচ্ছে না। বিচারপতি হাজির না হওয়ার জেরেই মঙ্গলবার নুসরতের বিরুদ্ধে দায়ের করা নিখিলের দেওয়ানি মামলার শুনানি সম্ভবপর হয়নি। এর জন্য নতুন পরিবর্ত তারিখ দেওয়া হবে আদালতের তরফে।
নুসরত নিজের মিডিয়া বিবৃতিতে গত মাসেই স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ‘স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট,১৯৫৪’-এর আওতায় রেজিস্ট্রিশন হয়নি তাঁর ও নিখিলের বিয়ের। নিখিলও সে কথা মেনে নেন পালটা বিবৃতিতে। সেই কারণেই অ্যানালমেন্ট করেই আলাদা হতে চেয়েছিলেন নিখিল।
নুসরতের মা হওয়ার খবর চাউর হতেই নাকি নুসরতের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নিখিল, এমন জল্পনাও মাঝে সামনে এসেছিল কিন্তু তা খারিজ করেন নিখিল। তিনি স্পষ্ট জানান নুসরতের নামে অনেক আগেই তিনি সিভিল স্যুট ফাইল করেছেন, এর সঙ্গে তাঁর ‘স্ত্রী’র অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরের কোনও যোগ নেই। এই প্রসঙ্গে দিন কয়েক আগে এক সংবাদমাধ্যমকে নিখিল জৈন জানান, ‘যে দিন জানলাম, নুসরত আমার সঙ্গে থাকতে চায় না , অন্য কারও সঙ্গে থাকতে চায়, সে দিনই দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছি আমি’।
নুসরত জাহান ও নিখিল জৈনের দাম্পত্যে চিড় ধরবার খবর প্রকাশ্যে চলে আসে নতুন বছরের একদম শুরুতে। এরপর সময় যত এগিয়েছে ততই জটিল হয়েছে এই সম্পর্কের সমীকরণ। যা এক্কেবারে নতুন মোড় নেয় গত মাসে। নুসরত জাহান বিবৃতি দিয়ে জানান, নিখিল জৈনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে ‘অবৈধ ও বেআইনি’। বরং সেই সম্পর্ককে তিনি ‘লিভ-ইন’-এর নাম দেন। এরপর এই জটিল সম্পর্কের বেশ কিছু জট খোলে।এর দিন কয়েকের মধ্যেই শিলমোহর পরে নুসরতের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার গুঞ্জনে। যশ দাশগুপ্তর সঙ্গে নিজের প্রেম নিয়েও এখনও অনেকখানি খোলামেলা নুসরত। তবে নিজের হবু সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে এখনও মুখে কুলুপ তারকা সাংসদের।