স্বামী বয়সে বড়, তাই তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠল না স্মিতার। বরং তাঁর জীবনে সেই বন্ধুত্বের অভাব পূরণ করল অন্য মানুষ। অথচ সেই সম্পর্কের জেরেই মিলল ‘ডাইনি’ অপবাদ! কেন? সম্পর্কের অজানা সমীকরণ নিয়ে এমন অনেক প্রশ্ন তুলে ধরবে ব্রাত্য বসুর ‘ডিকশনারি’। বুধবার প্রকাশ্যে এল আবির চট্টোপাধ্যায়, নুসরত জাহান অভিনীত এই ছবির ট্রেলার। এই ছবির সঙ্গে দীর্ঘ ১০ বছর বাদে ছবির পরিচালকের আসনে নাট্যব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু।
‘অসুর’-এর পর এই ছবিতেও স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে আবির-নুসরত। তবে ‘হ্যাপি ম্যারেড কপল’ বলতে যেমনটা বোঝায় তেমন সম্পর্ক নয় তাঁদের। পুরুলিয়ার বন বিভাগের আধিকারিক, অশোক সান্যাল (আবির) ও তাঁর স্ত্রী, স্মিতার (নুসরত) এই অসুখী সংসারে ঢুকে পড়বে সুমন। সম্পর্কে স্মিতার দেওর। পড়াশোনার সূত্রে কলকাতা থেকে পুরুলিয়া এসে থাকা সুমনের।বৌদির মোহ নাকি প্রকৃত ভালোবাসার সম্পর্কেে আটকে পড়েছে সে। সুমনের ভূমিকায় রয়েছেন অর্ণ মুখোপাধ্যায়। ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকছেন বাংলাদেশি অভিনেতা মোশারফ করিমও।
বুদ্ধদেব গুহ-র দু’টি ছোটগল্প ‘বাবা হওয়া’ এবং ‘স্বামী হওয়া’ অবলম্বনে তৈরি এই চিত্রনাট্য। মেকআপহীন লুক, এলোমোলো চুল আর সাদামাটা শাড়িতে পুরুলিয়ার লালমাটির রাস্তা ধরে দৌড়াচ্ছেন নুসরত। তাঁকে এই ছবিতে চেনা সত্যি দায়! অন্যদিকে তাঁর স্বামী তথা ‘মাস্টার’ আবিরের রহস্যজনক চোখে অনেক কিছু লুকিয়ে রয়েছে। স্বামী শব্দের আভিধানিক অর্থ ‘লাগামহীন’ স্ত্রীকে বুঝিয়ে দিতে উদ্যত সে।
হিন্দুস্তান টাইমসকে এই ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে নুসরত আগেই জানিয়েছিলেন, 'আমার এই চিত্রনাট্যটা খুব ইন্টারেস্টিং লেগেছে সেই কারণেই হ্যাঁ বলা। আবিরের সঙ্গে কাজ করাটা সবসময়ই মজাদার। আমার শেষ ছবিতে(অসুর) আবিরের সঙ্গে আমার রসায়ন দর্শকরা পছন্দ করেছে এবং আগামীতেও করবে বলেই আমার মনে হয়। আশা করছি এই জার্নিটা খুব সুন্দর হতে চলেছে’।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি, প্রেমের সপ্তাহে মুক্তি পেতে চলেছে ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন প্রযোজিত এই ছবি।