বলিউড স্টার কিডরা সবসময়ই লাইলাইটে ঘিরে থাকেন। তাঁদের প্রতিটা পদক্ষেপ ক্যামেরাবন্দি করেন পাপারাৎজ্জিরা। অভিনেতা অজয় দেবগন এবং কাজল কন্যা নাইসা দেবগন। এখনও বলিউডে পা রাখেনি সে। তবে তাঁর জনপ্রিয়তা কিছু কম নয়। বাড়ি থেকে বেরোলেই ছবি শিকারীরা ধাওয়া করেন কাজল কন্যাকে।
সম্প্রতি বন্ধু ওরহান আওয়াত্রামনির সঙ্গে মুম্বইয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন নাইসা। অনুষ্ঠান থেকে একগুচ্ছ ছবি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করেছেন ওরহান। এ দিন মাল্টি রঙের পোশাকে দেখা যায় ওরহানকে। অন্যদিকে সোনালি রঙের অফ সোল্ডার পোশাকে ধরা দেন নাইসা। হাতে একটি ব্যাগও নিয়েছিলেন তিনি।
নাইসা ওরহান এবং তাঁদের বন্ধুদের সঙ্গে পোজ দিয়ে ছবিও তুলেছেন। হাতে আইক্রিমের প্লেট নিয়ে অপর একটি ছবিতে পোজ দিয়েছেন তাঁরা। শেষ ছবিতে ওরহান এবং তানিয়া শ্রফের সঙ্গে বসে পোজ দিয়েছেন অজয় কন্যা। ক্যাপশনের পরিবর্তে, ওরহান খরগোশের মুখের ইমোজি যোগ করেছেন। আরও পড়ুন: ‘শয্যাসঙ্গিনী হলে..', শুভঙ্করের সহকারী মণিশঙ্কের বিরুদ্ধে ‘যৌন হেনস্থা’র অভিযোগ
১৯৯৯ সালে বিয়ে করেন কাজল আর অজয়। এরপর ২০০৩ সালে জন্ম হয় মেয়ে নাইসার। ২০১০ সালে জন্ম ছেলে যুগের। বছর কয়েক ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন নাইসা দেবগন। কাজল-অজয় কন্যা এখনও অভিনয় জগতে পা রাখেননি। তবে চোখ ধাঁধানো পোশাক, পার্টি আর লাইফস্টাইলের কারণেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন তিনি।
সিঙ্গাপুরের জিলায়ন ইনস্টিটিউট অফ হায়ার এডুকেশন থেকে স্কুলিং শেষ করেছেন নাইসা। উচ্চশিক্ষার জন্য সুইজারল্যান্ডে এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন তিনি।
নিজের রূপ ও শরীরস্বাস্থ্য নিয়ে একটু বেশিই সচেতন নাইসা। আর সেই নিয়েই চর্চায় থাকেন তিনি। অনেকের মতে, প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন কাজল-কন্যা। তবে সেকথা যে সত্যি নয়, তা এক সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছিলেন কাজল। অভিনেত্রীর কথায়, মেয়ে নাইসা বাবা অজয় দেবগনের মতোই রূপ শরীরস্বাস্থ্য নিয়ে একটু বেশিই সচেতন। নিয়মিত শরীরচর্চার পাশাপাশি ডায়েট মেনে খাবারও খান তিনি।
বাবা-মায়ের পদচিহ্ন অনুসরণ করে নাইসাও কি ইন্ডাস্ট্রিতে পা দেবে? মেয়ের সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে অজয় দেবগন এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘ও এখনও কিশোরী। কেরিয়ারে কোন দিকে সে এগিয়ে যেতে চায়, আমাকে বা কাজলে কাউকেই বলেনি কিছু। বর্তমানে ও বিদেশে পড়াশোনা করছে। যদি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কেরিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেয় সেইটা তাঁর পছন্দ। বাবা-মা হিসেবে আমরা সবসময় ওকে সমর্থন করব।’