‘অবুঝ এ মন বোঝে না বারণ, করে উচাতন… করে সারাক্ষণ, বিনিময়ে তোকে চাওয়া, ফিরে পাওয়ার আবেদন’, এটা যশমিতা অনুরাগীদের একদম মনের কথা। ‘বোঝা না সে বোঝে না’ জুটিকে আবারও একসঙ্গে দেখবার তাঁদের দীর্ঘদিনের আবেদন অবশেষে পূরণ হল। রবিবার, স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পেল যশ দাশগুপ্ত ও মধুমিতা সরকারের ‘ও মন রে’।
এই গানের অপেক্ষায় প্রহর গুনছিলেন ভক্তরা তা বলে দিচ্ছে বাঁধন ভাঙা উন্মাদনা। গান মুক্তির ৩০ মিনিটের মধ্যেই ‘ও মন রে’র ভিউ সংখ্যা ৫০ হাজার। কিন্তু প্রশ্নটা হল মন কি ভরলো এই মিউজিক ভিডিয়ো দেখে?
তনভীর ইভানের মাদকতা মেশানো কন্ঠস্বর আর যশ-মধুমিতার না-ভোলা রসায়ন এই গানের ইউএসপি। চার মিনিট দীর্ঘ এই মিউজিক ভিডিয়োতে একটা কাহিনি তুলে ধরেছেন পরিচালক বাবা যাদব। যদিও সেই কাহিনি কিন্তু অসম্পূর্ণ। শুরুতেই ধরা দিয়েছে মধুমিতার বিয়ের সাজানো আসর, লাল বেনারসিতে অপেক্ষায় হবু কনে। ছতনা তলায় যাওয়ার আগে পুরোনো প্রেমকে চোখের সামনে দেখে নিজের আবেগকে সামলাতে পারেনি সে। রক্তজবা চোখে জড়িয়ে ধরে মধুমিতার কান্না, একরাশ অভিযোগ আর পুরোনো সময়ের ফ্ল্যাশব্যাক- শুরুতেই মুগ্ধ অনুরাগীরা। এই গানের ভিডিয়ো দেখলে আপনার অনেকখানি সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘দেবদাস’-এর কথা মনে পড়বে। শাহরুখ যেমন, ঐশ্বর্যর দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দিয়েছিলেন (মূল উপন্যাসে তেমনটা নেই), এখানেও মধুমিতার বিয়ের পিঁড়ি ধরতে দেখা গেল যশকে।
মালাবদল, সিঁদুরদানের পর সুসম্পন্ন বিয়ে… সেখান থেকে চোখের জল মুছতে মুছতে বেরিয়ে যাচ্ছেন যশ। স্ক্রিনে ভেসে উঠবে ‘টু বি কনটিনিউড’, সুতরাং নতুন মিউজিক ভিডিয়োতে ফের ফিরবে এই জুটি তেমন আভাস দেওয়া হয়েছে এখানে।
যশ জানিয়েছেন, ‘মধুমিতার সঙ্গে ফের একবার আমাকে পর্দায় দেখবার জন্য আমার ফ্যানেরা পাগল ছিল, অবশেষে সেটা ঘটল! আশা করি ভালোবাসাকে মানুষ সেলিব্রেট করবে এই গানে, আর আমাদের জুটিটাকেও’। মধুমিতার কথায়, ‘ও মন রে আমার কাছে খুব স্পেশ্যাল, এটা আমার দ্বিতীয় মিউজিক ভিডিয়ো, ব্যক্তিগতভাবে এই গানটা আমার দারুণ পছন্দ।ভীষণ একটা প্রশান্তি রয়েছে গানটায়, খুব ইমোশ্যানাল। তনভীর গলাটা ব্যাপারটাকে জাস্ট জমিয়ে দিয়েছে’।
'অভিযোগ','অভিমান' খ্যাত এই বাংলাদেশি গায়ক জানালেন, ‘ভারতে এটা আমার ডেবিউ প্রোজেক্ট, আমি ভীষণ এক্সাইটেড, আশা করছি দর্শকরা এই গানটা পছন্দ করবে’। এই গানের মিউজিকের দায়িত্বভার সামলেছেন পীরাণ খান।